তুরস্কে ১৭ সাংবাদিকের জেল
২৬ এপ্রিল ২০১৮‘সন্ত্রাসবাদী' দলগুলোকে সমর্থন ও উসকানির অভিযোগে তুরস্কের একটি পত্রিকার ১৪ জন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর রায় দিয়েছে দেশটির একটি আদালত৷
বুধবার তুরস্কের সরকারবিরোধী দৈনিক পত্রিকা জুমহুরিয়েত-এর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঐ রায় দেওয়া হয়৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের মতো মানবাধিকার ও সাংবাদিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো এ ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেছে, এটি তুরস্কের মুক্ত সাংবাদিকতার প্রতি বড় আঘাতের শঙ্কা তৈরি করেছে৷
জুমহুরিয়েত পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো – তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি, কট্টর বামপন্থি দল পিপলস লিবারেশন পার্টি এবং গুলেন পার্টির ক্রমাগতভাবে প্রচারণায় অংশ নিয়ে গেছে৷
২০১৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে ক্রমাগত উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷
এর্দোয়ান সরকারের কট্টর সমালোচক জুমহুরিয়েত-এর জন্ম ১৯২৪ সালে, আধুনিক তুরস্কের জন্মের ঠিক এক বছর পর৷ জুমহুরিয়েত-এর অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘বিদ্রোহ'৷
সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক খবর ছাপানোর অভিযোগে জুমহুরিয়েত পত্রিকার মালিক ও সাংবাদিকসহ মোট ১৭ জন বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল৷ এর মধ্যে তিনজন বেকসুর খালাস পান৷
রায়ে জুমহুরিয়েত পত্রিকার চেয়ারম্যান আকিন আটালের আট বছর দেড় মাসের জেল হয়েছে৷ তবে আপিল করলে তিনি ছাড়া পাবেন বলে জানানো হয়েছে৷ আকিন এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র, যিনি বিচারের সময় কারাগারে ছিলেন৷
পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মুরাদ সাবুনসু এবং তুরস্কের খ্যাতনামা সাংবাদিক আহমেত সিককে সাড়ে সাত বছর জেল খাটার রায় দেওয়া হয়েছে৷
এছাড়া বাকি ১১ জন সাংবাদিকের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে৷ ২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর এর্দোয়ান সরকার এ পর্যন্ত তুরস্কের বেশ কিছু বিরোধী মতাদর্শের সংবাদমাধ্যম বন্ধ ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছে৷
এইচআই/ডিজি (ডিপিএ/এএফপি/রয়টার্স)