স্বাধীন সাংবাদিকতা
২ মার্চ ২০১২সাংবাদিকরা দেশের সংবিধান এবং আইন মেনে সাংবাদিকতা করেন৷ আর যার যার অধিকারের সীমা সম্পর্কে তাদের সচেতন থাকা উচিত৷ তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় আঘাত এলে দেশের গণতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার এক রিটের জবাবে হাইকোর্ট পুলিশকে এই মামলার তদন্তে অগ্রগতি ছাড়া কোন তথ্য সাংবাদিকদের না দেয়ার নির্দেশ দেন৷ বিচারপতি শাসমুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেনের বেঞ্চ আরো বলেন ‘জজ মিয়া খোঁজা হচ্ছে' – এ ধরনের অনুমান নির্ভর খবর প্রকাশ করা যাবেনা৷ আর এব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়৷ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহমুদ এর প্রতিক্রিয়ায় ডয়চে ভেলেকে জানান, আদালতের এই নির্দেশ এক ধরনের সেন্সরশিপ৷ কিন্তু সাংবাদিকরা এই আদেশ নির্দেশ মেনে সাংবাদিকতা করবেননা৷
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুকও আদালতের এই নির্দেশকে একধরনের সেন্সরশিপ বলেই মনে করেন৷ তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের ওপর কোন ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবেনা৷ তার মতে, সংবিধান আর আইন মেনে যার যার সীমানায় তার কাজ করা উচিত৷
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, আদালতের এই নির্দেশ অনভিপ্রেত৷ কারণ বিচার বিভাগ যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায়, তেমনি সংবাদ মাধ্যমেরও স্বাধীনতা আছে৷ কেউ এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে সফল হবেনা৷
ইতিমধ্যেই দেশের সবগুলো সাংবাদিক ইউনিয়ন এক যৌথ বিবৃতিতে হাইকোর্টের আদেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানিয়েছেন৷ এ ব্যাপারে তারা প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন