শিবির নেতার নির্দেশে খুন হন রাজীব
২ মার্চ ২০১৩তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি এবং ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে৷ মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পাঁচ ছাত্র হল ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ, মো. মাকসুদুল হাসান অনিক, মো. এহসান রেজা রুম্মান, মো. নাঈম শিকদার ইরাদ এবং নাসিম ইমতিয়াজ৷ তাদের ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান হত্যাকাণ্ডে মোট দুইটি গ্রুপ কাজ করে৷ এক গ্রুপ ব্লগার রাজীবের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে এবং আরেক গ্রুপ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়৷ তারা এজন্য রাজীবের ফেসবুক, বাসার আশপাশ এবং অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে৷ তারা রাজিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখেই নিশ্চিত হয় যে ১৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের দিন রাজীব শাহবাগে যাবেনা৷ তবে আগে তারা শাহবাগে গিয়ে কয়েকবার রাজীবকে দেখে আসে, যা জানান যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷
তাদের হত্যাকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক নেতা যাকে তারা বড় ভাই বলে ডাকে৷ আর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয় এক দেড়মাস আগে৷ হত্যার দিন বিকেলেই তারা মোটর সাইকেল এবং বাসে করে বিকেল চারটার দিকে মিরপুর পলাশ নগরে রাজীবের বাসার আশপাশে অবস্থান নেয়৷ তাদের গ্রুপের সদস্য অনিক হত্যাকাণ্ডের জন্য চাপাতি ও ছোরা কেনাসহ অন্যান্য খরচের টাকা দেয়৷ পুলিশ তাদের ব্যবহৃত ছোরা, চাপাতি, বাইসাইকেল, স্কুল ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে৷
মনিরুল ইসলাম জানান ব্লগার রাজীবকে হত্যার মূল পকিল্পনাকারী শিবির নেতাকে তারা এখনো আটক করতে পারেননি৷
এই হত্যাকাণ্ডে মোট সাতজন জড়িত বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন৷ তাদের আশা বাকিদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে৷ এদিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এই ৫ ছাত্রকে গ্রেফতারের পরই বহিস্কার করেছে৷