শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি
৫ অক্টোবর ২০১২গত দেড় বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে অন্তত ১০টি বড় ধরণের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে৷ আর এতে নিহত হয়েছেন ২ জন মেধাবী ছাত্র৷ আহত এবং পঙ্গু হয়েছেন অনেকে৷ আর সর্বশেষ গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'টি ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একে দেখছেন প্রভাব আর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হিসেবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সফিউল আলমও মনে করেন, নষ্ট এবং আদর্শহীন রাজনীতির প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে৷ সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মনে করেন, দেশের বড় দুইটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতা দখলের যে লড়াই তাই প্রতিফলিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে৷
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ অবশ্য এই ছাত্র সংঘর্ষের জন্য জামাত শিবিরকে দায়ী করেন৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মনে করেন, ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় রাজনীতির বাইরে নিয়ে যেতে হবে৷ আর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে হবে নিয়মিত৷ নয়তো এই সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবেনা৷
সবাই চান ছাত্র রাজনীতির নামে সংঘাত আর সংঘর্ষের অবসান ঘটুক৷ নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায়ও কোন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্র সংগঠন রাখার নিয়ম নেই৷ তারপরও সব রাজনৈতিক দলে ছাত্র সংগঠন আছে সহযোগী সংগঠনের নামে৷ আর তাই থামছেনা সংঘাত-সংঘর্ষ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন