1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি

৫ অক্টোবর ২০১২

শিক্ষাঙ্গনে সংঘাত দূর করতে ছাত্র রাজনীতি থেকে লেজুড়বৃত্তি দূর করতে হবে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর কোন ছাত্র সংগঠন রাখা উচিত নয়৷ এমন অভিমত বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের৷

https://p.dw.com/p/16LB0
ছবি: DW

গত দেড় বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে অন্তত ১০টি বড় ধরণের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে৷ আর এতে নিহত হয়েছেন ২ জন মেধাবী ছাত্র৷ আহত এবং পঙ্গু হয়েছেন অনেকে৷ আর সর্বশেষ গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'টি ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একে দেখছেন প্রভাব আর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হিসেবে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সফিউল আলমও মনে করেন, নষ্ট এবং আদর্শহীন রাজনীতির প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে৷ সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মনে করেন, দেশের বড় দুইটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতা দখলের যে লড়াই তাই প্রতিফলিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে৷

Dhaka Studentenproteste
দলীয় রাজনীতির বাইরেও কি প্রতিবাদ সম্ভব?ছবি: DW

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ অবশ্য এই ছাত্র সংঘর্ষের জন্য জামাত শিবিরকে দায়ী করেন৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মনে করেন, ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় রাজনীতির বাইরে নিয়ে যেতে হবে৷ আর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে হবে নিয়মিত৷ নয়তো এই সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবেনা৷

সবাই চান ছাত্র রাজনীতির নামে সংঘাত আর সংঘর্ষের অবসান ঘটুক৷ নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায়ও কোন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্র সংগঠন রাখার নিয়ম নেই৷ তারপরও সব রাজনৈতিক দলে ছাত্র সংগঠন আছে সহযোগী সংগঠনের নামে৷ আর তাই থামছেনা সংঘাত-সংঘর্ষ৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য