সামাজিক মিডিয়ায় বুয়েটের আন্দোলন
৫ সেপ্টেম্বর ২০১২উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল বুয়েট৷ ছাত্র-শিক্ষকদের অভিযোগ স্বজন প্রীতি, দুনীর্তি এবং প্রশাসনিক অনিয়ম করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান৷ বুয়েটে এই আন্দোলনের আঁচ লেগেছে বাংলা ব্লগ আঙিনাতেও৷
জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট সামহয়্যার ইন ব্লগে এম. মাসুদ আলম এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলছে৷ ... আমরা বুয়েটকে নোংরা রাজনীতির থাবা থেকে মুক্ত দেখতে চাই৷ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যত আন্দোলন (হয়), বিশ্বের আর কোথাও (এরকম) আছে কি না আমার জানা নেই৷''
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগে ব্লগার জুলফিকার জুবায়ের এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার উপযোগী ভালো পরিবেশ নিশ্চিত না করা গেলে এ ভূখণ্ডে দীর্ঘকায়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু বড় মানুষ পাওয়া যাবে না৷ বড় বড় মানুষ প্রয়োজন জাতি হিসেবে বড় হওয়ার জন্য৷''
একই ব্লগ সাইটে অপর ব্লগার শেখ মেহেদি মির্জা ছাত্র-শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তাঁর মতে, অনেক শিক্ষার্থী ভালোভাবে না জেনে, না বুঝেই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে৷ মেহেদি মির্জা লিখেছেন, ‘‘আমার ৭ জন বন্ধু বুয়েটে অধ্যয়নরত এবং ২ জন সাবেক ছাত্র আমার আত্মীয়, যারা প্রত্যেকেই ভিসি এবং প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত৷ তাদের প্রায় প্রত্যেকের সাথেই একটু আগে আমার ঘন্টা ব্যাপী আন্দোলন নিয়ে কথা হয়৷ আন্দোলন করছিস কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে একদম সকলেই একই জবাব দিল, জানিনা, তবে বেশির ভাগ করছে তাই আমরাও করছি৷''
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে বুয়েটের আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেক মানুষ৷ ব্লগার আরিফ জেবতিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে এধরনের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি তুলে এনেছেন৷ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফেসবুক পাতাও তৈরি করা হয়েছে৷ ‘বুয়েটের আঙ্গিনায় সন্ত্রাসীদের ঠাই নাই' শীর্ষক একটি ফেসবুক পাতায় ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের খবরাখবরও পোস্ট করা হচ্ছে৷
গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক