বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা
২০ জুলাই ২০১২উচ্চ মাধ্যমিক এবং সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়া হয়েছে বুধবার৷ এইসব ফলাফল নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই৷ কারণ, এবার গড় পাশের হার যেমন বেড়েছে, বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা৷ আর তাতে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার পাশের হার ৭৮.৬৭ ভাগ৷ যা গত বছর ছিল ৭৫.০৮ ভাগ৷ আর এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১,১৬২ জন শিক্ষার্থী৷ যা গত বছরের তুলনায় ২১,৩৯৩ জন বেশি৷ এছাড়া, গত বছরের তুলনায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী বেশি পাশ করেছে এবছর৷ কিন্তু এই ফলাফল পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে ভালো হলেও, গুণগত দিক দিয়ে এর প্রশংসা করতে পারছেন না শিক্ষাবিদরা৷ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি আরো উন্নত না করে বলা যাবেনা গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে কিনা৷
তবে এবার ঢাকার বাইরের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ফল করেছে৷ যাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অধ্যাপক কায়কোবাদ৷ তাঁর মতে ভালো ফল শুধু মুখ চেনা গুটিকয়েক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকবে, এই বৃত্ত ভাঙতে হব৷
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, গাণিতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে মান বোঝা যায়না৷ তাই মান নিশ্চিত না করে ভালো ফলের সংখ্যা বাড়াকে তিনি অশনিসংকেত বলে মনে করেন৷
তাঁর মতে, মেধার মূল্যায়ন পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ৷ তাই প্রথমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনীতি মুক্ত করে শিক্ষিত মানুষের হাতে দিতে হবে৷
এঁরা দুজনই মনে করেন, গুণগত মান না বেড়ে পাশের হার বাড়লে - তা ইতিবাচক হবেনা৷ তাতে অনেকেই হতাশার মধ্যে পড়তে পারেন৷ যা শিক্ষা ব্যবস্থায় ডেকে আনতে পারে বিপর্যয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ