শাশুড়ির হাতে মার খেলেন শবরীমালায় প্রবেশ করা নারী
১৬ জানুয়ারি ২০১৯স্থানীয় পুলিশ জানায়, গত ২ জানুয়ারি শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাসের অংশ হওয়ার পর থেকেই কনকদুর্গা ও তাঁর সহযাত্রী বিন্দু আমিনিকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে৷ সম্প্রতি বাড়ি ফিরলে তাঁর শাশুড়ি তাঁকে মারধর করেন৷ তাঁকে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে৷
পুলিশ আরো জানায়, কনকদুর্গাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এক সরকারি কর্মকর্তা৷ মালাপপুরাম শহরের কাছে এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে৷ পুলিশ তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তা দানের ব্যবস্থা করেছে৷ তবে তাঁর ক্ষত কতটা গভীর তা জানা যায়নি৷ শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রহৃত হওয়ার আগে কনকদুর্গা এক সাক্ষাৎকারে জানান, মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি তাঁর পরিবারের কাউকেই তিনি জানাননি৷ এ কারণে পরিবারের সবাই তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত৷ কনক জানান, যদি তাঁর পরিবারের লোকজন মন্দিরে প্রবেশের সিদ্ধান্ত জানতো, তাহলে তাঁর পক্ষে আর প্রবেশ করা সম্ভব হতো না৷
তিনি আরো বলেন, লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতীক হয়ে ওঠা শবরীমালা মন্দিরে তিনি প্রবেশ করেছেন ‘আয়াপ্পা' ভক্ত হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে৷ প্রসঙ্গত, শবরীমালায় আয়াপ্পা দেবতার পূজা করা হয়৷
শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনো নারীর প্রবেশাধিকার নেই৷এই নারীদেরকে ঋতুবতী ও ‘অপবিত্র' আখ্যা দিয়ে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে রেখেছিলমন্দির কর্তৃপক্ষ৷২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ঋতুবতী নারীদের ঐ মন্দিরে প্রবেশাধিকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দেয়৷ গত ২ জানুয়ারিতেই প্রথম কনক ও বিন্দু ওই মন্দিরে প্রবেশ করেন৷ এর পরপরই প্রধান পুরোহিত মন্দির শুদ্ধিকরণের জন্য বন্ধ করে দেন৷ শুদ্ধিকরণের পর মন্দির আবার খুলে দেওয়া হয়৷
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিজেপি৷ সেই সময় ভাঙচুর করা হয় শতাধিক বাস৷ গ্রেফতার হয় ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী৷ মন্দিরে প্রবেশের দিন সংঘর্ষে বিজেপির এক কর্মী নিহত হন৷
এফএ/এসিবি (এএফপি)