‘শান্তি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের না’
৩ নভেম্বর ২০২৩‘‘২৮ অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ঘোষিত শান্তি সমাবেশে শান্তি ছিলো না৷ এর জন্যে আমরা কি আওয়ামী লীগকে ব্যর্থ বলবো?'' অনুষ্ঠানের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের কথা ছিল মঞ্চ থেকে শান্তির বার্তা দেব৷ শান্তি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের না৷''
তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ সেখানে যখন আক্রান্ত হয়েছে তখন পুলিশ তার জবাব দিতে গিয়ে শান্তি রক্ষার চেষ্টা করেছে৷ পুলিশ যখন নিহত হয়েছে তখন তার প্রমাণ মিলেছে৷ আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদের মঞ্চ হচ্ছে শান্তির মঞ্চ, উন্নয়নের মঞ্চ৷ বিএনপির মঞ্চ হচ্ছে সন্ত্রাসের মঞ্চ, পেট্রোল বোমার মঞ্চ৷''
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাইডেনের ‘‘ভুয়া উপদেষ্টার'' সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘‘তারা আমাদের বোকা বনিয়েছে৷ কে বা কারা, আমি আওয়ামী লীগের কথা বলছি না৷''
তিনি আরও বলেন, ‘‘কারো বাড়ি পোড়া গেছে আর কেউ বাড়ি পোড়াতে আলু পুড়ে খাচ্ছে৷ আমি মনে করি যারা এই কাজটি করেছে তারা এই আলু পোড়া খাওয়ার জন্যে গিয়েছিল৷ তারা বিএনপিকে ধোঁকা দেয়ার জন্য এই কাজটি করেছে৷''
বাসে যে হামলা হয়েছে তাতে কি আওয়ামী লীগের লোকজন আহত হয়েছিল? কী করেছিল বিএনপির লোকেরা আওয়ামী লীগের ঐ বাসে? সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে আহমদ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর আসছে আমাদের বাসে আক্রমণ করেছে, তারপর কর্মীরা চলে গেছে৷ পরে পুলিশ সেখানে প্রোটেকশন দিয়েছে৷ পুলিশ প্রোটেকশন দিতে গিয়ে আহত হয়েছে৷''
সাংবাদিকদের উপর যে হামলা হয়েছে তার জন্য বিএনপি কি কোনো নিন্দা প্রস্তাব দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘‘আমাদের সময়টা খারাপ যাচ্ছে৷ আমাদেরকে একটু সময় দেন৷ কারণ আমাদের যুদ্ধটা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে৷ যারা দিনে ভোট করে না, রাতে ভোট করে৷ যারা জনগণের ভোট করে না, তারা নিজেরাই প্রসাশন দিয়ে ক্যু করে৷''
জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের এখনকার আলোচনা বা বোঝাপড়াটা আসলে কোন অবস্থায় আছে? সঞ্চালকের এই প্রশ্নের জবাবে আহমদ হোসেন বলেন, ‘‘তলে তলে জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের যেদিন মিল হবে সেদিন আওয়ামী লীগ মরে যাবে৷ আদর্শগত ভাবে এবং নীতিগত ভাবে শেষ হয়ে যাবে৷''
এমকে/এআই