1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা’: প্রশ্নের মুখে বিএনপি

সমীর কুমার দে ঢাকা
৩০ অক্টোবর ২০২৩

শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে৷ রবিবার তাকে আটক করা হলেও সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা' মিয়া আরেফীর প্রসঙ্গ৷

https://p.dw.com/p/4YD0i
Bangladesch Hochstabler gibt sich in Dhaka als Berater von Präsident Biden aus
জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া আরেফীকে রোববার বিমাবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ছবি: Samir Kumar Dey/DW

মিয়া জাহেদুল ইসলাম আরেফী, ওরফে মিয়া আরেফী শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির কার্যালয়ে নিজেকে মার্কিন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন৷ পরে রবিবার সকালে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে৷ সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে হঠাৎ কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপেদষ্টার আবির্ভাব? বিষয়টি কি দেশের চলমান রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে?  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমান হলো,বিদেশিদের উপর আমাদের ভয়ানক নির্ভরতা৷ বিএনপি এই ঘটনার মাধ্যমে নিজেদের দেউলিয়াত্বের প্রমান দিয়েছে৷ তা না হলে বাইডেনের উপদেষ্টা কারা সেটা তারা জানবে না! একজনকে ধরে এনে বাইডেনের উপদেষ্টা বলে চালিয়ে দিলেই হলো? মানুষ সেটা বুঝবে না? আসলে বিএনপির নিজেদের রাজনীতির উপরই আস্থা নেই৷ বিদেশিদের উপরই তাদের যে নির্ভরতা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটাই আবার প্রমান হলো৷ এখন বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা হাসি-ঠাট্টা করবেন! তাদের তো এর কোনো জবাব থাকবে না৷”

যেভাবে সামনে এলেন বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা' মিয়া  আরেফী

 গত শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয় এলাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়৷ সন্ধ্যায় হঠাৎ করে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোরাওয়ার্দী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন৷ ব্রিফিং রুমে গিয়ে তিনি একজনকে মার্কিন প্রেডিডেন্টের উপদেষ্টা বলে পরিচয় করিয়ে দেন৷ এরপর ‘মিয়ান আরেফী' নামে ওই ব্যক্তি বক্তব্য শুরু করেন৷ তিনিও নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন৷ এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘র‌্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি৷ এখন পুলিশ ও আনসার বাহিনীকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পরামর্শ দেবো৷ পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে৷ মার্কিন সরকার বিএনপির সঙ্গে আছে।'' ১৮ মিনিট তিনি ইংরেজিতে এই বক্তব্য দেন৷ এ সময় তার পাশে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোরাওয়ার্দী ও ইশরাক হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে দেখা যায়৷

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রথম মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এই ব্যক্তিকে তারা চেনেন না৷ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, কোনো ব্যক্তি মার্কিন দূতাবাস থেকে বিএনপি অফিসে যাননি৷ এমনকি জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা' বলে যেই পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়৷ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেন, ‘‘এ ধরনের খবর পুরোপুরি অসত্য৷ ওই ভদ্রলোক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে কথা বলছেন না৷ তিনি একজন বেসরকারি ব্যক্তি।'' এর কিছুক্ষণ পর বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে এক ব্যক্তির বক্তব্য রাখার বিষয়টি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নজরে এসেছে৷ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে বিএনপি একেবারেই অবগত নয়৷ ওই ব্যক্তির বিষয়ে দূতাবাস থেকে বিএনপি মহাসচিবকে আগে থেকে অবহিত করা হয়নি৷ এ কারণে বিএনপি তার বক্তব্যের বিষয়েও অবহিত নয়৷’’

বিএনপি এই ঘটনার মাধ্যমে নিজেদের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে: ড. তানজিম উদ্দিন খান

ইশরাক ও বিএনপির বক্তব্য

 সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ইশরাক হোসেন ও লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোরাওয়ার্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়৷লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোরাওয়ার্দীকে পাওয়া না গেলেও বহু চেষ্টার পর ইশরাক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়৷ টেলিফোনে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে আমি নয়া পল্টনে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলাম নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিতে। সেখানে হঠাৎ সোরাওয়ার্দী সাহেব একজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে বাইডেনের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দেন। এ সময় তাদের অনুরোধে আমি সেখানে বসি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় বা যোগাযোগ নেই। তারপরও তার বক্তব্য আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন শেষে আমি বিষয়টি যুগ্ম মহাসচিব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানাই। আমি আসলে পরিস্থিতির শিকার৷''

 একই বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সোরাওয়ার্দী সাহেব তো বিএনপির কোনো পদে নেই৷ ইশরাক আন্তর্জাতিক কমিটিতে থাকলেও তিনি তো সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল নয়৷ ফলে এই সাংবাদিক সম্মেলনের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই৷ বিষয়টি আমাদের নেতাদের নজরে আসার পরই আমরা মিডিয়াকে জানিয়েছি৷ আর সংঘর্ষের পরপরই ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল পুলিশের হাতে৷ ফলে পার্টি অফিসে কে এসেছেন, আর কে গেছেন সেটা আমরা জানি না৷ এই ঘটনায় বিএনপি বেকায়দায় পড়ারও কিছু নেই৷”

শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে নিজেকে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া আরেফী রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে৷ রবিবার দিনভর ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার সকালে তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়৷

বিএনপির কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টার আবির্ভাব সম্পর্কে আরেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাহেদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এমন একজন ব্যক্তি দেশে আসলো কীভাবে সেটাই তো বড় প্রশ্ন৷ বিএনপির কেউ জানলো না যে, এই ব্যক্তি ভুয়া! তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷

জিজ্ঞাসাবাদে যা বলেছেন আরেফি

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে মিয়া আরেফী কী বলেছে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আরেফী আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দী, বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন৷ আসলে এটি সত্য নয়৷ তারা মিথ্যাভাবে আরেফীকে উপস্থাপন করেছেন৷ তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (আরেফী) বলবেন র‌্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি, এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পাররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে৷ এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হবে৷ ১৯৮৬ সালে তিনি অ্যামেরিকা চলে যাওয়ার পর ১৯৮৬ সালে একবার এসেছিলেন৷ এরপর ২০২২ সালে দেশে এসে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন৷ তিনি রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচে থাকেন৷ সেখানে হাঁটা-চলার মধ্যে দিয়ে পরিচয় হয় হাসান সোরাওয়ার্দীর সঙ্গে৷ তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়৷ আরেফী তখন অ্যামেরিকা চলে যান৷ হাসান সোরাওয়ার্দী তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের আগে আসতে বলেন৷ গত ২৬ অক্টোবর দেশে এলে হাসান সোরাওয়ার্দী আরেফীকে বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির একটি র‌্যালি হবে, আপনাকে দেখাতে নিয়ে যাবো৷ এই কথা বলে তাকে নিয়ে আসা হয়৷ আরেফী আমাদের বলেছেন, ‘আমার এটা ভুল হয়েছে৷ আমি জানতাম না এত বড় অন্যায় হয়েছে৷ পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, শত শত মানুষ আহত হয়েছেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে৷ এগুলো আরেফী নিজে থেকেই বলেছেন৷’’

ডিবি আরেফীকে হস্তান্তর করার পর পল্টন থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমাদের থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমরা আদালতে পালিয়েছি৷ আমরা তাকে রিমান্ডে নিতে চাইনি৷ কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করেছি৷ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন৷

রবিবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা’ মিয়া জাহেদুল ইসলাম আরেফী, ওরফে মিয়া আরেফীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার৷ গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদারের করা এ মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকেও আসামি করা হয়েছে৷ ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১৯/৪০৯ ধারায় করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শুধু বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা’ আরেফীই গ্রেপ্তার রয়েছেন৷

পল্টন থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘‘বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন৷ তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন, যা মিথ্যা।”

হাসান সোরাওয়ার্দী তাকে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের আগে আসতে বলেন: হারুন অর রশীদ

বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা' আরেফী আসলে কে?

মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেয়ার পর বিমানবন্দরে আটক হওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেল্লাল নামে পরিচিত৷ উল্লাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর ডয়চে ভেলেকে বলেন, "গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে উল্লাপাড়ায় এসেছিলেন তিনি৷ দুই-তিন দিন ছিলেন উপজেলা ডাক বাংলোর একটি কক্ষে৷ সেখান থেকে তিনি কোথাও যাতায়াতে ব্যবহার করতেন উল্লাপাড়ার সাবেক এমপি আকবর আলীর গাড়ি৷’’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা' জাহিদুল ইসলাম আরেফী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মানিক দিয়ার গ্রামের মৃত রওশন মণ্ডলের ছেলে৷ তার বাবা রওশন মণ্ডল ছিলেন পাবনা জেলার শিক্ষা অফিসার ৷ মিয়া আরেফীরা ছয় ভাই এবং চার বোন৷ সবাই অ্যামেরিকায় থাকেন৷ প্রায় ৪০ বছর আগে তাদের বাবা অ্যামেরিকায় গিয়ে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান৷

হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম বলেন, ‘‘তাদের বাড়ি আমার ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে হলেও তারা এখানে কেউ থাকেন না৷ আমি নিজেও তাকে বা তাদের চিনি না৷’’

সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘‘এলাকার লোকজনের সাথে তাদের তেমন যোগাযোগ নেই৷ শুনেছি, সাবেক এমপি আকবর আলীর সাথে আরেফীর বাবার খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল৷ আকবর আলী অ্যামেরিকায় গেলে আরেফীর বাসাতেই থাকতেন৷ তার স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনরা কেউ সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত নয়৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য