1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ফুটবল

১০ অক্টোবর ২০১২

সামনে আয়ারল্যান্ড এবং সুইডেনের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার৷ তার আগেই জার্মান একাদশ নিয়ে বিতর্কে মেতেছেন কর্মকর্তারা, মজা পাচ্ছে মিডিয়া৷ কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হল সাফল্য৷

https://p.dw.com/p/16NBv
ছবি: picture-alliance/dpa

কোথায় ঠাণ্ডা মাথায় দু'দুটো কোয়ালিফায়ারের প্রস্তুতি নেবেন জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ এবং তাঁর খেলোয়াড়রা৷ কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের প্রেসিডেন্ট উলি হোয়নেসের গায়ে ছুঁচ ফোটানো মন্তব্যগুলোর পরেও ল্যোভ'কে মাথা ঠাণ্ডা এবং মুখ বন্ধ রাখতে হয়েছে৷ তাঁর বদলে মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার অলিভার বিয়ারহোফ৷

হোয়নেসের সবচেয়ে বড় সমালোচনা হলো - যদিও তিনি স্বভাবতই ঠিক এই ভাষাতে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেননি - ল্যোভ তাঁর জাতীয় দলের প্লেয়ারদের বড় পুতপুতু করেন, বাবা-বাছা বলে, গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে কাজ চালিয়ে নেন৷ প্লেয়ারদের সঙ্গে আরো শক্ত, আরো কড়া হওয়া উচিত বলে মনে করেন হোয়নেস৷

এছাড়া ডিএফবি বা জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের বড় বেশি ‘ফ্ল্যাট' কিংবা গণতান্ত্রিক কাঠামো নিয়েও আপত্তি আছে হোয়নেসের৷ তার ওপর ডিএফবি নাকি ফুটবলের খুঁটিনাটির চেয়ে ট্রেনিং ক্যাম্পে কিভাবে টেবল টেনিস টেবিল পাঠানো হবে, তাই নিয়েই বেশি মাথা ঘামায়৷ জার্মান জাতীয় দলের ট্রেনিং যেন একটা ওয়েলনেস, ইত্যাদি৷

Fußball-Nationalmannschaft trainiert in Barsinghausen
কোয়ালিফায়ারের জন্য চলছে প্রস্তুতি...ছবি: picture-alliance/dpa

উত্তরে জার্মান জাতীয় দলের ম্যানেজার অলিভার বিয়ারহোফ বলেছেন, ফুটবলের কর্মকর্তারা যদি এভাবে পরস্পরের মূল্যায়ন করতে শুরু করেন, তাহলে সেটা খুব মঙ্গলজনক নয়৷ ডিএফবি'র তরফ থেকে তো বায়ার্ন মিউনিখের সাফল্য-অসাফল্য, সেখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয় না? ‘‘আমরা সকলেই একই নৌকায় বসে, যাত্রাপথ একই৷ আমাদের উদ্দেশ্য হলো ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় ফুটবলের উন্নতি৷ সেখানে অকারণে গোলমাল সৃষ্টি না করে আমাদের পরস্পরকে সাহায্য করা উচিত৷''

ওদিকে আগামী শুক্রবার জার্মান একাদশের ক্যাপ্টেন হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছেন বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার, যিনি নিজেও বায়ার্নের খেলোয়াড় এবং হোয়নেসের আগেই জাতীয় একাদশে টিম স্পিরিটের অভাব নিয়ে মন্তব্য করে ঝড় তুলে বসে আছেন৷ ল্যোভ স্বয়ং শোয়াইনিকে এমনিতেই জার্মান জাতীয় দলের ইমোশনাল লিডার বলে অভিহিত করে থাকেন৷

সেই শোয়াইনি আপাতত তাঁর টিম স্পিরিট সংক্রান্ত সমালোচনার পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ৷ তাঁর মতে আসল কথা হলো, সামনে যে দুই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে, তাদের আগে হারাতে হবে৷ মজার কথা, জার্মান পত্রপত্রিকাতেও ঠিক সেই কথাই বলা হচ্ছে: ল্যোভ তাঁর সমালোচকদের শুধু একটাই উত্তর দিতে পারেন: সেটা হল সাফল্য৷ জার্মান দল ১৯৯৬ সাল যাবৎ কোনো খেতাব ঘরে আনতে পারেনি৷ এবার সেটাকে বদলানো দরকার৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এসআইডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য