জার্মান ফুটবল
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২মঙ্গলবার কথাটা বলেন ডিএফবি'র নতুন প্রেসিডেন্ট ভোল্ফগাং নিয়ের্সবাখ৷ গত বারো বছর ধরে জার্মান জাতীয় একাদশ কোনো খেতাব জেতেনি৷ ল্যোভ স্বয়ং আসেন ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পরে৷ তিনি দায়িত্ব নেবার পর জার্মানি ২০০৮ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল অবধি পৌঁছেছে৷ ২০১০'এর বিশ্বকাপ এবং ২০১২'র ইউরো'তে জার্মানি সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছয়৷
গত জুনে ইউরো ২০১২'র সেমিফাইনালে জার্মানি ইটালির কাছে ২-১ গোলে হারার পর থেকেই ল্যোভের বিরুদ্ধে একটা চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷ মূল সমালোচনা হল, তিনি কোনো বড় খেতাব ঘরে আনতে পারছেন না৷ অথচ তাঁর সঙ্গে ডিএফবি'র চুক্তির মেয়াদ ২০১৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অবধি৷ সেই বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং'এ এবার জার্মানি প্রথম দু'টো ম্যাচে বিশেষ চমক দেখাতে পারেনি৷
ইওয়াখিম ল্যোভের সমালোচকদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের প্রেসিডেন্ট উলি হোয়নেস'এর৷ হোয়নেসের মতে ল্যোভের জাতীয় একাদশের প্লেয়ারদের সঙ্গে আরো কড়া হওয়া উচিত৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি'র প্রেসিডেন্ট ভোল্ফগাং নিয়ের্সবাখ কিন্তু সে'সব কথা শুনতে চান না৷ মঙ্গলবার তিনি একটি সংবাদপত্র সাক্ষাৎকারে বলেন যে, তিনি ইওয়াখিম ল্যোভকে ‘‘যোগ্য, সৎ এবং আন্তরিক'' বলে মনে করেন৷
নিয়ের্সবাখ তাঁর মনোভাবের সপক্ষে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন৷ প্রথম যুক্তি: জার্মানি ফুটবলে বিশ্ব ব়্যাংকিং'এ দ্বিতীয়৷ দ্বিতীয় যুক্তি: প্রত্যেকটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পর ১৬টি দলের মধ্যে ১৫টির কোচের চাকরি যায় আর একজন টিকে থাকে, এটাই বা কেমন পরিস্থিতি? নিয়ের্সবাখের বক্তব্য: ডিএফবি অবিচ্ছিন্ন পরম্পরায় বিশ্বাস করে, যে কারণে ল্যোভের চেয়ে ইউরোপে আর যে একজন জাতীয় কোচ আরো বেশিদিন ধরে ঐ দায়িত্বে আছেন, তিনি হলেন ডেনমার্কের কোচ মর্টেন অল্সেন৷
অবশ্য ল্যোভ স্বয়ং এ'মাসের মাঝামাঝি একটি সাক্ষাৎকারে জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত ট্যাবলয়েড ‘‘বিল্ড'' পত্রিকাকে বলেছেন যে, তাঁর দল এখনও ‘মিসফায়ার' করছে এবং গোলের সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারছে না৷ ‘‘আমাদের খেলায় সহজ ভাবটা, ঠাণ্ডা থাকার অভাব৷ খেলায় স্থিতি আনার দরকার,'' বলেছেন ল্যোভ৷
এসি / জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)