লোকপাল বিলের খসড়ায় অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর ২০১১বিতর্কিত লোকপাল বিল নিয়ে দ্বিমুখী চাপে মনমোহন সিং সরকার কার্যত দিশাহারা৷ একদিকে আন্না দলের হুমকি অন্যদিকে বিরোধী দলের চাপ৷ অবশেষে লোকপাল বিলের খসড়া আজ অনুমোদন করলেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷
দুর্নীতি-বিরোধী আরো চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিল সংসদে পাশ করানো হবে চলতি অধিবেশনেই৷ এজন্য অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২৯শে ডিসেম্বর অবধি৷ লোকপাল বিল ছাড়া অন্য যে তিনটি বিল পাশ করা হবে সেগুলি হলো, নাগরিক সনদ বিল, বিচার বিভাগের দায়বদ্ধতা বিল এবং হুইসেল ব্লোয়ার বিল অর্থাৎ দুর্নীতির ঘটনা যারা সামনে আনবেন তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিল৷ নাগরিক সনদ বিলে নাগরিকদের অভিযোগের সুরাহা ও পরিষেবা হবে সময়-ভিত্তিক, বিচার বিভাগের দায়বদ্ধতা বিলে বিচারপতিদের বিষয় সম্পত্তি ঘোষণার কথা বলা হয়েছে৷
নাগরিক চার্টার বিলটি মঙ্গলবার পেশ করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী৷ যদিও আন্না হাজারের দাবি ছিল এটি লোকপাল বিলের অধীনে আনার৷
লোকপাল বিল নিয়ে ধন্দ এখনো পুরোপুরি কাটেনি৷ যদিও পুরোনো লোকপাল বিলে ৬০টি সংশোধন করা হয়েছে৷ রক্ষাকবচ সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে বিলের আওতায়৷ আসল জটিলতা রয়ে গেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআইকে নিয়ে৷ আন্না দল সিবিআইকে রাখতে চেয়েছিল লোকপালের অধীনে৷ সরকারের তাতে আপত্তি৷ তবে সরকার এটুকু মেনে নিয়েছে যে, সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের জন্য পৃথক কমিটি গঠন করা হবে তাতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদে বিরোধী দলর নেতা এবং লোকপাল৷
লোকপাল বিলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান মনু সিংভির সুপারিশ, লোকপাল সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবেন এবং চার্জশীট না দেয়া পর্যন্ত সরকার বা লোকপাল তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না৷ এক কথায় সিবিআই কার্যত থাকবে স্বশাসিত৷ নীচু তলার সরকারি কর্মচারিদের দুর্নীতির তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় ভিজিলান্স কমিশনার৷
আন্নার বক্তব্য, কড়া লোকপাল বিল আনলে সরকারকে বাড়তি সময় দিতে তাঁদের আপত্তি নেই৷ কিন্তু বিল যদি নখদন্তহীন হয় তাহলে আগামী ২৭শে ডিসেম্বর থেকে মুম্বই-এ আবার তিনি অনশন শুরু করবেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক