১৯ দিনের মৌন ভাঙলেন আন্না হাজারে
৪ নভেম্বর ২০১১গান্ধী সমাধি রাজঘাটে মৌনব্রত ভঙ্গ করে আন্না হাজারে মনমোহন সিং সরকারকে হুমকি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সরকার যদি কড়া লোকপাল বিল পাশ করাতে ব্যর্থ হন, তাহলে পাঁচটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নামবেন৷ জনলোকপাল বিলকে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার টুকরো টুকরো করে আইন পাশ করাতে চাইছে৷ সরকারের উদ্দেশ্য সাফ নয়, বলেন তিনি৷
ঐ নির্বাচনগুলিতে মানুষ যাতে দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীদের ভোট না দেন, তার জন্য প্রচার চালাবে আন্না শিবির৷ মানুষকে বোঝাবে দুর্নীতির প্রশ্নে সরকার কড়া নয়, তাই কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেবেননা৷ শুধু তাই নয়, সংসদে যে-সব দল বিল সমর্থন করেনি তাদেরকেও যেন ভোট না দেন৷ বোঝাবে কেন লোকপাল বিল এতো জরুরি৷ তাহলে কী বিজেপিকে সমর্থন করবেন? আন্নার উত্তর - এক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে পার্থক্য নেই৷ এই প্রসঙ্গে তিনি উত্তরাখণ্ড রাজ্যের লোকাযুক্ত বিলকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলেন৷ আন্না টিমের পুনর্গঠন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, টিম পুনর্গঠিত হবে৷ সব ধর্ম, সব অঞ্চল ও সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে৷
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আন্না বলেছিলেন, শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাশ না হলে অধিবেশনের শেষদিন থেকে আবার তিনি অনশনে বসবেন, গোটা দেশ সফর করবেন৷
কংগ্রেস মুখপাত্র মনু সিংভি বলেন, আন্না অনশন ত্যাগ করেছিলেন শীতকালীন অধিবেশনে বিল পাশ করানোর শর্তে৷ তাহলে প্রতি মাসে আন্না টিমের বক্তব্য পালটানোর উদ্দেশ্য কী ?
লোকপাল বিল নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আন্না টিম ৩৪টি সংশোধনের প্রস্তাব দেয়৷ তারমধ্যে আছে, রাজ্যগুলির জন্য লোকায়ুক্ত, লোকপালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ, তাঁদের অপসারণ, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে লোকপাল সংস্থায় মিশিয়ে দেয়া, এই সংস্থাকে নির্বাচন কমিশনের মত স্বশাসিত করা, সময়ভিত্তিক তদন্ত শেষ করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও বিচারবিভাগকে লোকপাল বিলের আওতায় আনা৷ আজকের বৈঠকে আন্না টিমের নেতৃত্ব দেন আন্না স্বয়ং৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক