লিবিয়ায় প্রশ্নের মুখে বিদ্রোহীদের ঐক্য
৩০ জুলাই ২০১১বিদ্রোহীদের মন্ত্রী আলি তারহুনি বলছেন ‘ওবাইয়দা ইবনে জারাহ ব্রিগেড' নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা ইউনেসকে হত্যা করেছে৷ ঐ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছেন তিনি৷
তারহুনি বলছেন, আটক নেতা স্বীকার করেছেন যে, তার দলের লোকজনই ইউনেসকে হত্যা করেছে৷ তবে হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি৷
উল্লেখ্য, ইউনেস এক সময় গাদ্দাফির খুব কাছের লোক ছিলেন৷ ১৯৬৯ সালে যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি ক্ষমতায় বসেন সেই অভ্যুত্থানেও গাদ্দাফির সঙ্গে ছিলেন ইউনেস৷ পরে গাদ্দাফি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন৷ বিদ্রোহ শুরু হলে এ বছরের শুরুর দিকে তিনি গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন৷
কিন্তু বিদ্রোহীদের একটা অংশ ইউনেসের নেতৃত্বে কাজ করার পক্ষে ছিল না৷ কারণ তারা মনে করতো গাদ্দাফির কাছ থেকে সরে আসলেও গোপনে তিনি বা তাঁর পরিবার ঠিকই গাদ্দাফির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন৷
এছাড়া মন্ত্রী থাকাকালে তিনি যাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন তারাও ইউনেসের বিরুদ্ধে ছিল৷ এগুলোই ইউনেসকে হত্যার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷
তবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণে বিদ্রোহীদের মধ্যে যে একতা নেই এমন একটা ধারণা ফুটে উঠেছে৷ গাদ্দাফির সরকারও এই সুযোগে বলছে যে, বিদ্রোহীরা যে দেশ চালাতে যোগ্য নয়, এটা তারই একটা প্রমাণ৷ আর গাদ্দাফির মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম বলছেন, বিদ্রোহের পেছনে আল কায়েদার হাত রয়েছে এটাও তার একটা প্রমাণ৷ তিনি বলেন, অনেক বিদ্রোহী নেতাও জানেন যে, আল কায়েদা ধীরে ধীরে পূর্ব লিবিয়ায় তাদের শক্তি বিস্তার করছে৷ কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলছে না৷
এদিকে, বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল'কে যেসব দেশ ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে তারাও ইউনেস হত্যার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে৷ এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছে৷ উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি দেশ বিদ্রোহীদের সরকারকে লিবিয়ার একমাত্র অনুমোদিত সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই