1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় আইএস

১৭ আগস্ট ২০১৬

সিরিয়া ও ইরাকে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এখনো অনেক এলাকা আইএস-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ তবে লিবিয়ায় সির্টে শহর হাতছাড়া হওয়ায় সে দেশে বড় ঘা খেলো এই জঙ্গি গোষ্ঠী৷ জঙ্গিরা ইটালি চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1JjSO
লিবিয়ায় কোণঠাসা আইএস
ছবি: Reuters/I. Zitouny

সিরিয়া ও ইরাকের পর লিবিয়াই তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত৷ গোটা অঞ্চলে যেখানেই যুদ্ধ বা গৃহযুদ্ধের ফলে ক্ষমতার কেন্দ্রে শূন্যতা রয়েছে, সেই অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে আইএস শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করে এসেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে গত বছর জুন মাসে লিবিয়ার উপকূলবর্তী সির্টে শহর তাদের দখলে চলে আসে৷

লিবিয়ার রাজনৈতিক অচলাবস্থা অনেকটা কেটে যাওয়ার ফলে সে দেশের সেনাবাহিনী এবার গোটা দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ এবার সির্টে শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে বলে তারা দাবি করছে৷ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আইএস জঙ্গিরা জোরালো সংগ্রাম চালিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি৷

জাতিসংঘের মদতে গঠিত লিবিয়ার জাতীয় ঐক্য সরকার বা জিএনএ গত প্রায় ৩ মাস ধরে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ ফলে শহর প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে৷ সংঘাতের আগে শহরের জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ৮০,০০০৷ এই অভিযানে সরকারের সমর্থনকারী বাহিনীকে সরাসরি সহায়তা করছে মার্কিন বোমারু বিমান৷ মিসরাটা শহরের বাহিনী সির্টে শহর দখল অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ গত ১লা আগস্ট থেকে আইএস নিয়ন্ত্রিত স্থাপনার উপর বিমান হামলা চলছে৷ ৯ই আগস্ট জিএনএ বাহিনী শহরে প্রবেশ করে৷

সির্টে শহর বা তার একটা বড় অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালেও লিবিয়ায় আইএস নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি৷ শরণার্থী সেজে বেশ কিছু আইএস জঙ্গি ইটালিতে আশ্রয় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ লিবিয়ার সরকার এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে৷

মূল ঘাঁটি হারানোর পর আইএস অন্য শহর বা এলাকা দখলের চেষ্টা করবে বলে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ অথবা কৌশল বদলে সন্ত্রাসী হামলার পথ বেছে নিতে পারে তারা৷ উত্তরে উপকূলবর্তী এলাকায় সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ কায়েম করলেও দক্ষিণে মরু অঞ্চলে প্রশাসনিক শূন্যতা রয়েছে৷ আইএস জঙ্গিরা সেখানেও তাদের ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারে৷ এ কাজে তাদের সহায়তা করতে পারে কিছু উপজাতি, যারা এককালে লিবিয়ার স্বৈরাচারী শাসক মুয়ম্মর গদ্দাফির সমর্থন করতো৷ প্রভাব-প্রতিপত্তি হারিয়ে এমন উপজাতির অনেক তরুণ আইএস-এ যোগ দিয়েছিল৷

সির্টে শহর আইএস-এর হাতছাড়া হলেও সেই অঞ্চলে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা সত্ত্বেও দেশের পূর্বাঞ্চলে প্রতিপক্ষ এক সমান্তরাল সরকার ক্ষমতার রাশ ছাড়েনি৷ সির্টে দখলের পর জিএনএ সেই অঞ্চলেও তাদের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করতে পারে৷ ফলে সেই সমান্তরাল প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য