সিরিয়া সংকট
৮ আগস্ট ২০১৬শহরের অনেক অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী৷ বিদ্রোহীরা তাদের তাড়িয়ে গোটা শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায়৷ শনিবারই তারা এই কাজে অনেক সাফল্য পেয়েছে৷ সরকারের অনেক সামরিক স্থাপনাও তাদের দখলে এসে গেছে৷
২০১১ সালে বর্তমান সংকট শুরুর পর আসাদ বাহিনী সাধারণত এত বড় মাত্রায় পরাজয়ের মুখ দেখেনি বলে দাবি করছে সিরিয়ান অবজারভেটারি ফর হিউম্যান রাইটস৷ তাদের বক্তব্য, এমনকি প্রায় ৬০০ বার আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করেও তারা সাফল্য পায়নি৷ রাশিয়ার মদদও পরিস্থিতি বদলাতে পারেনি৷ উল্লেখ্য, রুশ বিমান সরাসরি আলেপ্পোয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপর হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ ইরানের মিলিশিয়া বাহিনী ও লেবাননের হেজবোল্লাহ-ও আসাদ বাহিনীকে সাহায্য করছে৷
এবারের অভিযানে বিদ্রোহীদের সাফল্যের অন্যতম কারণ তাদের ঐক্য৷ ‘আর্মি অফ কনয়োকেস্ট' বা ‘বিজয়ের সৈন্য' নামের আড়ালে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠী ছাড়াও রয়েছে জিহাদি গোষ্ঠী৷ এমনকি আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ নুসরা ফ্রন্ট নাম বদলে ‘জবহাত ফাতাহ আল-শাম' নামে এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে৷ এছাড়া রামুসা এলাকায় সাম্প্রতিক সাফল্যের ফলে জোটের পক্ষে আলেপ্পোর উপর হামলা চালাতে সুবিধা হয়েছে৷
সরকার অবশ্য পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করছে, যে সরকারি বাহিনী ‘ভাড়াটে সৈন্যদের' হামলা সামলে উঠে রসদ সরবরাহের নতুন পথ নিশ্চিত করেছে৷ তাছাড়া ‘সন্ত্রাসবাদীদের' বিরুদ্ধে বোমারু বিমান থেকে হামলা চালিয়ে যথেষ্ট সাফল্য পাওয়া গেছে বলে সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা দাবি করছে৷
বলা বাহুল্য, সরকার ও বিদ্রোহীদের এই সংঘর্ষের ফলে আলেপ্পো শহরের মানুষ চরম দুরাবস্থার মুখে পড়েছে৷ খাদ্য ও রসদ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে৷ বিপর্যস্ত নাগরিক পরিষেবা আরও চাপের মুখে পড়েছে৷ বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে শহর ছেড়ে চলে যাওয়াও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প৷
পোপ ফ্রান্সিস রবিবার বলছেন, আলেপ্পো শহরে এত বেশি সংখ্যক বেসামরিক মানুষের দুঃখ-কষ্ট একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ বিশেষ করে এত শিশু সেখানে কষ্ট পাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)