রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরতা নয়
২৭ মার্চ ২০১৮নিউইয়র্কে বাংলাদেশের জাতিসংঘ মিশনেবার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন৷ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ভাসান চরে জমি তৈরি, সাইক্লোন প্রতিরোধ, আবাস ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করতে এই অর্থ প্রয়োজন৷
‘‘যেহেতু এই অর্থের অংকটি অনেক বড়, তাই কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি.'' বলছিলেন তিনি৷ ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থ নিয়েই এগোনোর চিন্তা করছি৷ কারণ, বিদেশি সাহায্যের ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছি না৷'' শাহরিয়ার আলম জানান যে, রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো হবে না৷ যারা সেখানে যেতে আগ্রহী হবেন, তাদেরই পাঠানো হবে৷
গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় পালিয়ে এসেছেন৷ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছন, মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার বিষয়ে চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে বলে তাদের ভাসান চরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাচ্ছে সরকার৷ তিনি বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রক্রিয়া শুরুর কথা ভাবছে সরকার৷
ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ তারা বলছে, এই চরটি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে৷ এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘আমরা বাঁধ নির্মাণ করছি৷ তাই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই৷''
খুব আশাবাদী না হলেও এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দরকার তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সহযোগিতা আশা করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷
জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)