1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা

১৮ জানুয়ারি ২০১৭

মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত সংগঠন ওআইসি বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে৷ সংগঠনের সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এতে অংশ নেবেন৷

https://p.dw.com/p/2Vzxt
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
ছবি: Reuters/M. P. Hossain

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ওআইসির এই একদিনব্যাপী বিশেষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে৷ সম্মেলন শেষে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে৷ মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হবে৷ এছাড়া রাখাইন রাজ্যে ইতিমধ্যে মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চরম অবনতি হয়েছে সেটি যেন আর না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে অনুরোধ করবে ৫৭টি মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত ওআইসি৷ নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে তাদের এলাকায় ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানানো হবে৷

রোহিঙ্গাদের কাছে যেন বাধাহীনভাবে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য মালয়েশিয়া মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করবে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমান৷

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা

ওআইসির সম্মেলন শুরুর আগে সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতির সবশেষ অবস্থা জানাবেন মিয়ানমার বিষয়ক ওআইসির প্রতিনিধি সৈয়দ হামিদ আলবার৷ সম্মেলনের আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন৷ হামিদ আলবার বলেন, ‘‘রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন যেন আর না বাড়ে সেটি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের এগিয়ে আসা উচিত৷'' গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৮৬ জন রোহিঙ্গা নিহত হওয়া ও প্রায় ৬৬ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এটি এখন আর শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক উদ্বেগেরও৷''

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির উন্নয়নে ওআইসির জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন হামিদ আলবার৷ ‘‘আমরা কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডার মতো গণহত্যা আর দেখতে চাই না'', বলেন তিনি৷

স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান

রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের ৪১টি সংগঠন৷ এর মধ্যে নারী অধিকার বিষয়ক সংস্থা সহ আছে মানবাধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ বুধবার এক বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানায়৷

এর আগে অভিযোগ তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছিল মিয়ানমার সরকার৷ চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ঐ কমিশনের প্রতিবেদনটি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে ‘হাস্যকর' মনে হয়েছিল৷ কারণ কমিশন বলেছিল, রোহিঙ্গাদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন চালানোর অভিযোগ নাকি সত্য নয়৷

এদিকে, মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইয়াংহি লী রাখাইন রাজ্যে তাঁর তদন্ত বিষয়ক সফর শুক্রবার শেষ করবেন বলে জানা গেছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান