রাহুল গান্ধীর ভিডিও-মামলা, সাংবাদিক গ্রেপ্তার
৫ জুলাই ২০২২জি টিভির নিউজ অ্যাংকর ও সাংবাদিক রোহিত রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করা নিয়েও অবশ্য মঙ্গলবার বিস্তর নাটক হয়েছে। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড়ের পুলিশ ভোর সাড়ে পাঁচটায় সোজা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে সাংবাদিকের বাড়িতে পৌঁছয় তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য। রোহিত রঞ্জন উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে জানান। তারাও সেখানে পৌঁছে যায়।
তারপর শুরু হয় দুই রাজ্যের পুলিশের বাদানুবাদ। গাজিয়াবাদ পুলিশের অভিযোগ ছিল, তাদের না জানিয়ে তাদের এলাকা থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে না ছত্তিশগড়ের পুলিশ। কিন্তু ছত্তিশগড় পুলিশের দাবি, তাদের কাছে ওয়ারেন্ট আছে। ফলে কাউকে জানানোর দরকার নেই। তারা আইনত রাজীব রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
শেষ পর্যন্ত, গাজিয়াবাদের পুলিশই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। তবে তার বিরুদ্ধে অনেক লঘু অভিযোগ আনা হয়েছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সম্প্রতি উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়া লালকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়। মহানবী(সা:) বিরুদ্ধে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। তার জন্যই দুই জন তাকে খুন করে বলে অভিযোগ। এই খবরের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ''কেরালার ওয়ানাড়ে তার নির্বাচনকেন্দ্রের একটি অফিস ভাঙার পর রাহুল বলেছিলেন, বাচ্চা ছেলেরা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে। তাদের ক্ষমা করা উচিত।'' গেহলট বলেছেন, ''টিভি চ্যানেল ও অ্যাংকর ওই ভিডিওটি উদয়পুরের কানহাইয়া লালের খবরের সঙ্গে দেখিয়েছে।''
এরপরই কংগ্রেস প্রবল প্রতিবাদ করে। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে দুইটি মামলা হয়। চ্যানেলের তরফ থেকে এবং অ্যাংকরও ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেন।
রাহুল গান্ধীও এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ''পুরো দেশ বিজেপি-আরএসএসের ইতিহাস জানে। তারা দেশকে ঘৃণার আগুনে পোড়াতে চাইছে। তারা দেশকে যতই ভাগ করার চেষ্টা করুক না কেন, কংগ্রেস দেশকে এক রাখার কাজ চালিয়ে যাবে।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)