1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটির উপর আবার হামলার প্রচেষ্টা

২৬ ডিসেম্বর ২০২২

সোমবার রাশিয়ার ভূখণ্ডে এক সামরিক ঘাঁটির উপর ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করছে৷ এদিকে বড়দিন উৎসব সত্ত্বেও রাশিয়া ইউক্রেনের উপর একাধিক হামলা চালিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4LQVr
ভলগা নদীর কাছে রাশিয়ার দুইটি টিইউ-৯৫ স্ট্র্যাটেজিক বম্বার
ভলগা নদীর কাছে রাশিয়ার দুইটি টিইউ-৯৫ স্ট্র্যাটেজিক বম্বারছবি: Russian Defense Ministry Press Service/AP/picture alliance

রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় দশ মাস পরেও ইউক্রেন হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ সোমবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার এংগেলস সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে৷ রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটি ড্রোন ধ্বংস করার পর সেটির আঘাতে তিন জন রুশ ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টাস জানিয়েছে৷ উল্লেখ্য, রাশিয়ার সূত্র অনুযায়ী গত ৫ই ডিসেম্বর সেখানে ড্রোন হামলা ঘটেছিল৷ গুরুত্বপূর্ণ এই সামরিক ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনের উপর হামলা চালানো হয়ে থাকে৷ ইউক্রেনের সরকার অবশ্য এতকাল রাশিয়ার ভূখণ্ডের মধ্যে হামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যেমনটা আশঙ্কা করছিলেন, বাস্তবেও তেমনটাই ঘটলো৷ বড়দিনের উৎসব সত্ত্বেও রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলায় কোনো বিরতি ঘটায় নি৷ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সূত্র অনুযায়ী মস্কো রোববার খারকিভসহ দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে রকেট ও গোলাবর্ষণ করেছে৷ জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার লাগাতার হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেনের মানুষ অবিচল থেকে ‘ক্রিসমাস মিব়্যাকেল' দেখিয়ে দিয়েছেন৷ তার মতে, চলতি বছরে রাশিয়া যা হারাবার, সবই হারিয়েছে৷ জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষকে আস্বস্ত করে বলেন, অন্ধকার সত্ত্বেও দখলদারি শক্তিকে নতুন পরাজয়ের পথে চালিত করা হবে৷

রকেট ও ড্রোন হামলায় জ্বালানিসহ নাগরিক পরিষেবা বিপর্যস্ত হলেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু এবার উত্তরে বেলারুশ থেকে হামলা শুরু হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে৷ রাশিয়া থেকে সরবরাহ করা ইস্কান্দার ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম সে দেশে মোতায়েন করায় দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ সেই ক্ষেপণাস্ত্র এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রাখে৷ রোববার বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রণালী সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেছে৷

শুধু বেলারুশ নয়, ইরানও রাশিয়াকে যুদ্ধে মদত দেওয়ায় ইউক্রেনে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এক শীর্ষ উপদেষ্টা ইরানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ধ্বংস করার ডাক দিয়েছেন৷ যে সব ব্যক্তি সেই কারখানায় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে, তাদের গ্রেপ্তারেরও ডাক দিয়েছেন তিনি৷ ইরান অবশ্য রাশিয়াকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷

কূটনৈতিক মঞ্চে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে ইউক্রেন জাতিংসঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়ার বহিষ্কারের ডাক দিতে চলেছে৷ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেন, সোমবারই সরকারিভাবে সেই অবস্থান জানাচ্ছে৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাশিয়ার কি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং আদৌ জাতিসংঘের সদস্য থাকার অধিকার আছে কি? সে দেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় নানা স্তরে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বলে কুলেবা দাবি করেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)