1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামনবমীর মিছিলে হামলা: বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙলো সরকার

১৩ এপ্রিল ২০২২

রামনবমীর দিন গোলমাল হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি জেলায়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়ি, দোকান বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হলো।

https://p.dw.com/p/49sdV
প্রতীকী ছবি। ছবি: Findlay Kember/AFP/Getty Images

খারগোনে রামনবমীর মিছিলে পাথর মারা হয়, গুলি চলে, কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধুরীর পায়েও গুলি লেগেছিল। তারপরই সোমবার একটি সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের বিরুদ্ধে পাথর মারার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাড়ি, দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। ডিভিশনাল কমিশনার পবন শর্মা জানিয়েছেন, মোট ৫০টি জায়গায় এই অভিযান চলে।

সরকারের দাবি, বেআইনি জমির উপর বাড়ি বা দোকানগুলি তৈরি হয়েছিল। তাই তা ভেঙে দেয়া হয়েছে। মোট ৮৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। চারজন সরকারি কর্মী গুজব ছড়ানোর জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনার পরেই বলেছিলেন, দাঙ্গাকারীদের ছাড়া হবে না। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের খেসারত তাদের দিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছিলেন, যারা এই কাজ করেছেন, তাদের বাড়ি ভেঙে দেয়া হবে। শুধু খারগোন নয়, বারয়ানিতেও একই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

তীব্র প্রতিক্রিয়া

মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ''মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারি দেশের মানুষের জীবন নারকীয় করে তুলেছে। সরকারের উচিত সেই সমস্যা উপর বুলডোজার চালানো। তা না করে তারা বুলডোজার দিয়ে ঘৃণা ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।''

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তার কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন।

এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার বেআইনি কাজ করেছে এবং যথেচ্ছাচার করেছে। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, ''ওয়েইসিজি তো পাথর মারার ঘটনার নিন্দা করেননি, এখন তিনি সরকারি ব্যবস্থার নিন্দা করছেন। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি কেন আহত বোধ করছেন।''

জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ বলেছে, ''সংখ্যালঘুদের হয়রানি করা হচ্ছে।'' সিপিএমের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে আছেন?

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, নিউজ ২৪, ডেকান হেরাল্ড)