1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ, মৃত এক

১১ এপ্রিল ২০২২

মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট-সহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ হয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও।

https://p.dw.com/p/49klO
জেএনইউ
ছবি: DW/R. Chakraborty

রোববার দেশজুড়ে রামনবমী পালিত হয়েছে। তবে মিছিল ঘিরে উত্তাপও ছড়িয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে। গুজরাটে বেশ কয়েকটি এলাকায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ।

গুজরাটের হেমন্তনগরে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বেশ কিছু দোকানে এবং পথের ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা স্কুটারে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রামনবমীর মিছিল ঘিরে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। তারপরেই দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

একইধরনের ঘটনা ঘটেছে খামভাট অঞ্চলে। সেখানে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পাথরের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

গুরুগ্রামে নামাজ বিতর্ক

মধ্যপ্রদেশে কারফিউ

মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করতে হয়েছে। সেখানেও একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার সকালে ভোপালের পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি জায়গায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। মাইক নিয়ে এলাকায় ঘুরে পুলিশ ঘোষণা করেছে, খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হয়। ভোপালের খাড়গন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানেও রামনবমীর মিছিলের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বক্তব্য, মুসলিম এলাকার ভিতর দিয়ে বিকট আওয়াজে মাইক বাজিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাইকের আওয়াজ কমাতে বলা হলে বিতর্ক শুরু হয়। তারপরেই তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।

জেএনইউয়ের ঘটনা

রামনবমীর দিন সংঘর্ষ হয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও। প্রত্যক্ষদর্শীরা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, দুপুরে হস্টেলের মেসে মাংস রাখা হয়েছিল। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) রামনবমীতে মাংস খাওয়ানোর বিরোধিতা করে। বামপন্থি ছাত্ররা প্রশ্ন তোলে, কেন মাংস খাওয়া যাবে না। এই নিয়ে প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছে।

রামনবমী ঘিরে এবার বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম ছিল রাজনীতি। দিল্লির দুই পুরপ্রধান ব্যক্তিগতভাবে বাজারগুলিতে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সরকারিভাবে তেমন কোনো নির্দেশ জারি হয়নি। কেন দুই মেয়র ওই নির্দেশ দিয়েছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল। রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সরগরম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। তবে গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের ঘটনা বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)