রাজপথের আন্দোলনকে সংসদে আনুন বিরোধীরা : সুরঞ্জিত
১১ অক্টোবর ২০১১প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব দাবি থাকে৷ এবং সেই দাবির স্বপক্ষে জনমত গঠনের অধিকার থাকার পাশাপাশি, সংসদে এসেও সেই একই কথা বলার অধিকার তাদের আছে৷ এই মন্তব্যটি করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্য, সেই দাবি দাওয়া নিয়ে সংসদে না এসে রাজপথের আন্দোলন করলে সেই বিশেষ দলের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হতে থাকে, তেমনই, সাংবিধানিক আদল যায় নষ্ট হয়ে৷ যে কারণে, সাসংদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়েছেন, সংসদে ফিরে এসে নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরতে৷ যাকিনা সাংবিধানিক উপায়৷ সাংবিধানিক অধিকারের প্রয়োগ ব্যতীত সাংবিধানিক বিরোধী দলের অস্তিত্ব থাকেনা৷
কিন্তু বংলাদেশের রাজনীতিতে এ জিনিস নিয়মিত দেখা যায়, যে দলই বিরোধী আসনে যায়, তারা সংসদকে বয়কট করে থাকে৷ সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মনে করেন, এই নেতিবাচক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে৷ পরস্পরকে অবিশ্বাস, সংবিধান ও আইনের প্রতি অবমাননা৷ এ জিনিস অতীতে হয়নি বলে এখন হবেনা, এমনটা মনে করেন না সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ তাঁর অভিমত, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অত্যন্ত জরুরি বিষয়৷ গণতন্ত্রে যা আশু প্রয়োজন৷ একই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ কী করবে এ প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, সকলকেই এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস রাখতে হবে৷ এবং তাঁর প্রত্যাশা, পরবর্তীতে সেই ইতিবাচক উদ্যোগ দেখাবে তাঁর দল৷
বিএনপি-র দাবি, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায় তারা৷ সেই দাবিতেই চলছে আন্দোলন৷ সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, গোটা বিশ্বের কোথাওই নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়না৷ ক্ষমতাসীন সরকার তাকে সমর্থন জানায় মাত্র৷ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেই মডেল অনুসৃত হতে চলেছে৷ এবং এই মডেলটি গণতন্ত্রকে আরও সুচারুভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে বলেই সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত-র বিশ্বাস৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ