সংকট ও সংলাপ
২ জানুয়ারি ২০১৩আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংসদে বা সংসদের বাইরে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে কিছুটা হলেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি বিএনপি'র সঙ্গে ভেতরে ভেতের আলাপ আলোচনার কথাও বলেন৷ কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে ভেতরে ভেতরে এই আলোচানার কথা অস্বীকার করেছে৷ আর বলেছে, সংলাপ হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিলে৷
তাহলে বিএনপি এখন কি করবে? এমন প্রশ্ন ছিল বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের কাছে৷ তাঁর জবাব, আওয়ামী লীগ যে সংলাপের কথা বলছে তা সময় পার করার জন্য৷ তারা আসলে আন্তরিক নয়৷ আন্তরিক হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপের কথা বলতো৷ তা তারা বলছে না৷ তাই তাদের ফাঁদে পা দেবেনা বিএনপি৷ বরং আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে খালেদা জিয়ার দল৷
একই ধরনের কথা বলেন বিএনপি'র আরেক সিনিয়র নেতা হান্নান শাহ৷ তিনি বলেন, দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই৷ তবে তাঁরা নির্বাচনের জন্যও দলকে প্রস্তুত রাখছেন৷
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ মূলত ব্যস্ত রয়েছে তার সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এবং বিরোধী দলের আন্দোলন কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, তার কৌশল নির্ধারণে৷ আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানালেন, বিরোধী দলের দাবি তাঁদের জানা৷ তাই দাবির ব্যাপারে কি হবে তা সময়ই বলে দেবে৷ তবে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী নির্বাচনের৷ আর সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জানান, যে যাই ভাবুক না কেন তাঁরা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন৷ তাঁরা সবচেয়ে আগে ভাবছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে৷
সব মিলিয়ে এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে শিগগিরই কোনো রাজনৈতিক সংলাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছে না৷ যাচ্ছে আন্দোলন এবং তা মোকাবেলার প্রস্তুতির খবর৷ যদিও আগামী নির্বাচনের জন্য ভোট চাইছে প্রধান দুটি দলই৷