1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রক্তচোষা বাদুড়ের দিন শেষ

১৭ নভেম্বর ২০১২

‘টোয়াইলাইট’ পর্যায়ের শেষ ফিল্ম চলেছে৷ এর পরে ইয়ং অ্যাডাল্ট অর্থাৎ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মন - এবং বক্স অফিস - জয় করার জন্য কী করা যায়, তাই নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে হলিউডের স্টুডিওগুলো৷

https://p.dw.com/p/16kvB
FILE- In this file film publicity image released by Warner Bros. Pictures, from left, Emma Watson, Rupert Grint and Daniel Radcliffe are shown in a scene from "Harry Potter and the Deathly Hallows: Part 2." (AP Photo/Warner Bros. Pictures, Jaap Buitendijk, File)
ছবি: AP

টিনেজারদের জগৎটাই আলাদা৷ তাদের মনোরঞ্জন কি মন জয় করার জন্য বিশেষ ধরণের উপাদানের প্রয়োজন৷ কিন্তু সেটা আগে থেকে হিসেব করে বলাটা অতি দুরূহ৷ শোনা যায়, হ্যারি পটারকে প্রথমে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পাঁচ-পাঁচটি প্রকাশনীর সম্পাদক৷ ওদিকে প্রথম চারটি ‘টোয়াইলাইট' ছবি সারা বিশ্বে রোজগার করেছে মোট ২৫০ কোটি ডলার৷

টিনেজারদের বিভিন্ন আকুলতা তথা ভীতি নিয়ে খেলার একটা ফর্মুলা ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করছে৷ যেমন বেলা আর এডোয়ার্ড, একজন ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা বাদুড়-মানুষ, অন্যজন ওয়েরউল্ফ বা নেকড়ে-মানুষ৷ দুটিই অতিপ্রাকৃত চরিত্র৷ তাদের নিয়ে আবার একটি টিনেজ লাভ ট্রায়াঙ্গল বা প্রেমের ত্রিভুজ৷ এই পর্যায়ের বইগুলোর আশ্চর্য সাফল্যের পর হলিউড তার যা রোজগার করার করে নিয়েছে৷ শেষ ‘‘টোয়াইলাইট'' ছবি ‘‘ব্রেকিং ডন, পার্ট টু'', অর্থাৎ ‘প্রত্যুষ, দ্বিতীয় অংশ' এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায় ১৫ কোটি ডলার কামাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

কিন্তু এর পরে?

ভয়ের কিছু নেই, অথবা ভয়ের যথেষ্ট উপাদান আছে৷ আগামী বছর গোটা চারেক ফিল্ম আসছে বাজারে, যাদের উপজীব্য হবে ভিন্নগ্রহ থেকে আসা পরজীবী-পরভুক, অশুভ ‘জম্বি' এবং অপ্রাকৃত গুণ্ডা-বদমায়েশদের বিরুদ্ধে কিশোর প্রেমের যুদ্ধ৷ আজকালকার টিনেজাররা আবার যাকে বলে কিনা ‘টেক-স্যাভি', অর্থাৎ প্রযুক্তির সমঝদার৷ ‘দ্য হাঙ্গার গেমস'-এর মতো ছবি তারাই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তুঙ্গে তুলে দিয়েছে৷

‘‘যাদের কম বয়স, তারা একটা বইকে ভালোবাসে একটা অত্যুৎসাহী, গভীর দরদ দিয়ে,'' বলেছেন হাঙ্গার গেমসের প্রযোজক নিনা জেকবসন৷ নয়তো ‘টোয়াইলাইট'-এর প্রযোজক অতি ক্ষুদ্র সামিট এন্টারটেইনমেন্ট'কে হলিউডের বিগ লিগে তুলে দিতে পারতো না এই ‘টিনি' বা টিনেজাররা৷

কাজেই সামিট এবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে আনছে ‘ওয়ার্ম বডিজ' বা ‘উষ্ণ শরীর' নাম দিয়ে একটি ‘জম্বি' প্রেমকাহিনি৷ ওয়ার্নার ব্রাদার্স আনছে ‘‘বিউটিফুল ক্রিয়েচার্স'' বা ‘অপরূপ প্রাণী': জাদুক্ষমতা সম্পন্ন এক কিশোরী এবং এক কিশোরের রোম্যান্স৷ এটা হল বস্তুত ‘টোয়াইলাইট' এবং হ্যারি পটারের একটি পাঞ্চ বা মিশ্রণ৷ ওদিকে ‘টোয়াইলাইট'-এর লেখিকা স্টেফেনি মায়ার'এর ‘দ্য হোস্ট' নিয়ে আসছে পরভুকদের কাহিনি৷ আর সনি কর্পোরেশন আনছে ‘সিটি অফ বোন্স' বা ‘হাড়ের শহর', যা'তে এক কিশোরী দুনিয়াকে বাঁচাচ্ছে অপদেবতাদের হাত থেকে৷

আস্তে আস্তে হলিউড কচিকাঁচাদের মন কিছুটা বুঝে উঠতে পেরেছে বৈকি!

এসি / এএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য