রংপুরের টিটু রায় নীলফামারীতে গ্রেপ্তার
১৪ নভেম্বর ২০১৭স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রংপুর সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে গিয়ে হিন্দুদের পোড়া বাড়িঘর দেখার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘টিটু রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ টিটু দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷''
রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, টিটুকে নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সকালেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
শুক্রবার বিকেলে রংপুর সদরের ঠাকুপাড়ায় হিন্দুদের ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়৷ আরো ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাটও চালায় হামলাকারীরা৷ হামলার এক পর্যায়ে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মারা যান৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, শুক্রবারের ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার এসআই রেজাউল করিম ও কোতোয়ালি থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন৷ মামলায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে৷ এ পর্যন্ত ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
তবে যে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য হামলা চালানো হয়, সেই স্ট্যাটাসটি টিটু রায়ের কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ ঘটনার পরই সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, টিটু রায় সাত বছর ধরে রংপুরে থাকেন না এবং তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই৷ টিটুর পরিবার এবং স্থানীয়দের অনেকেই মনে করেন, লেখাপড়া না জানা টিটুর পক্ষে এমন স্ট্যাটাস দেয়া সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত৷
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘শুনেছি টিটু লেখাপড়া জানেন না৷ তিনি নাকি আট-দশ বছর আগে থেকে বাড়ি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে থাকেন৷ পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে৷ এটা আসলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা৷ এজন্য এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে৷ দেশে ষড়যন্ত্র চলছে৷''
সংবাদমাধ্যমকে একই প্রসঙ্গে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘ফেসবুকে তার (টিটু) দেওয়া ধর্ম অবমাননার স্ট্যাটাস খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এলাকায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷''
এসিবি/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)