1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌনকর্মে অক্ষমের শাস্তির বিধান বাদ দিলো পাকিস্তান

২০ নভেম্বর ২০২১

রাসায়নিক দিয়ে ধর্ষককে যৌন মিলনে অক্ষম করার মতো শাস্তির বিধান পাকিস্তানে পাস হওয়া নতুন আইন থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ রাষ্ট্রীয় ইসলামিক কাউন্সিলের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/43Hha
Pakistan | Proteste in Karatschi gegen Gewalt an Frauen
২০২০ সালে করাচিতে ধর্ষনবিরোধী একটি সমাবেশে প্রতিবাদকারীরাছবি: Reuters

প্রস্তাবিত আইনে থাকলেও পাকিস্তানে পাস হওয়া নতুন আইনে শেষ পর্যন্ত ধর্ষককে যৌন মিলনে অক্ষম করার মতো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে আইন বিষয়ক সংসদীয় সচিব মালেকা বুখারি  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷ ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা অপরাধ আইন সংশোধন করেছি এবং রাসায়নিক দিয়ে (ধর্ষককে) যৌন মিলনে অক্ষম করার বিধানটি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’

তিনি জানান, আইন পাসের একেবারে শেষ সময়ে রাষ্ট্রীয় ইসলামিক আইডিওলজি কাউন্সিলের (আইআইসি) মতামতের প্রেক্ষিতে বিধানটি সংশোধন করা হয়েছে৷ যৌন মিলনে অক্ষম করার শাস্তি অনৈসলামিক বলে অভিমত দিয়েছে তারা৷ এতে ভোটাভুটির আগ মুহূর্তে নির্দিষ্ট সেই ধারাটি খসড়া থেকে বাদ দেয়া হয়৷

করাচির আত্মবিশ্বাসী কিশোরীরা

এর আগে গত বুধবার ইমরান খানের সরকার সংসদে তড়িঘড়ি করে তিন ডজন আইন পাস করে৷ যার মধ্যে ধর্ষণ বিরোধী অপরাধ আইনটিও ছিল৷ যৌন মিলনে অক্ষম করার শাস্তির বিধান রেখেই আইনটি পাস করা হয়েছে বলে এদিন খবর প্রকাশ করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ ও রয়টার্সের বরাতে এই খবর প্রকাশ করেছিল ডয়চে ভেলেও৷ এই খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বিবৃতি দেয়৷

পাকিস্তানে নারী ও শিশুদের উপর যৌন অপরাধের ঘটনা সচরাচরই ঘটছে৷ বেসরকারি অলাভজনক সংস্থা ওয়ার অ্যাগেইনস্ট রেইপ এর তথ্য অনুযায়ী মাত্র তিন শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীকে আদালত সাজা দিয়েছে ৷ ২০২০ সালে একটি হাইওয়েতে ছেলের সামনে এক মা-কে গণধর্ষণের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে ফাঁসি দেয় আদালত। তখনই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদের বা যৌন মিলনে অক্ষম করার মতো শাস্তি দেয়া উচিত।

পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চেক রিপাবলিক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাজ্যে এমন শাস্তির বিধান রয়েছে৷ যদিও মানবাধিকারকর্মীরা একে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন৷

এফএস/এডিকে (রয়টার্স, এপি)

মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান