ধর্ষককে যৌনকর্মে অক্ষম করতে পাকিস্তানে আইন
১৯ নভেম্বর ২০২১পাকিস্তানে রাসায়নিক দিয়ে ধর্ষককে যৌন মিলনে অক্ষম করার শাস্তি চালু হতে আর কোনো বাধা রইলো না। পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি আগেই প্রস্তাবিত আইনের প্রস্তাবে সই করেছিলেন। এবার পার্লামেন্টে তা অনুমোদিত হলো। বারবার নারীকে যৌন নিপীড়ন করলে, গণধর্ষণ করলে এই শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
এই আইন অনুসারে, পুলিশকে অপরাধীদের সম্পর্কে পুরো তথ্য রাখতে হবে। আদালতে তা পেশ করতে হবে। চার মাসের মধ্যে আদালত মামলার নিষ্পত্তি করবে।
অপরাধ বাড়ছে
পাকিস্তানে নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। পাকিস্তান ক্রিমিনাল কোড(পিসিসি) অনুযায়ী এতদিন বারবার এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ফাঁসি। এবার তার সঙ্গে খোজা করার শাস্তিও যুক্ত হলো।
বিচারপ্রক্রিয়া যাতে দ্রুত হয়, সেজন্য বিশেষ আদালতও গঠন করা হবে।
২০২০ সালে একটি হাইওয়েতে ছেলের সামনে এক মা-কে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে ফাঁসি দেয় আদালত। তখনই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদের শাস্তি দেয়া উচিত।
বেসরকারি সংগঠন ওয়ার এগেইনস্ট রেপ জানিয়েছে, পাকিস্তানে মাত্র তিন শতাংশ ধর্ষক শাস্তি পায়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির বিরোধ
আইনজীবী রিজওয়ান খান বলেছেন, ‘‘সমস্যাটি জটিল। এটা সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। এই আইন যে সমাধানের রাস্তা দেখাচ্ছে তা অতি সরল।’’
বেশ কিছু মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, এই ব্যবস্থা খুবই নিষ্ঠুর। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যৌন-সহিংসতার মূল কারণ খুঁজে দেখা দরকার।
জিএইচ/এসজি (ডিপিএ, রয়টার্স)