‘যুবরাজকে কুমির কামড়ায়নি,
১২ ডিসেম্বর ২০১৩ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লসকে কুমির কামড়ায়নি – এমন তথ্য জানিয়ে ব্রাজিলের মানাউস শহরের মেয়র আসলে ঠাট্টার ছলে সবাইকে অভয় দিতে চেয়েছেন৷ ব্রিটেনের ‘ডেইলি মিরর' মানাউস শহরকে নিয়ে এমন এক প্রতিবেদন ছেপেছে যার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আর ঠাট্টা না করে পারেননি আর্থার ভির্জিলো৷ ২০১৪-র ফুটবল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচটি হবে মানাউসে৷ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইটালি৷ বিশ্বকাপের সাবেক দুই চ্যাম্পিয়নের ম্যাচে গ্যালারি দর্শকে পূর্ণ থাকার কথা৷ ইংল্যান্ড সমর্থকরাও যে সেখানে ভিড় জমাবেন তাতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু ‘ডেইলি মিরর' এক প্রতিবেদনে ইংলিশ ফুটবলপ্রেমীদের জানিয়েছে, মানাউস খুব বিপদজনক শহর, অনেকটা মৃত্যুকূপের মতো, সেখানে খেলা দেখতে গেলে নাকি লাশ হয়ে ফিরতে হতে পারে!
এ খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় মানাউসের মেয়র খারাপ কিছুই বলেননি৷ বলেননি যে আমাজন জঙ্গলের পাশের এ শহরটিতে সবকিছু শতভাগ ঠিক আছে৷ বরং পৃথিবীর অনেক বড় শহরের মতো তাঁর শহরেও অনেক ভালোর পাশাপাশি কিছু খারাপও আছে – এ কথা স্বীকার করে ডেইলি মিরর পত্রিকা এবং ব্রিটেনের ফুটবলপাগল মানুষদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘এ শহর দেখতে আসুন, আমি সব ঘুরিয়ে দেখাবো৷'' গত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে, বলে দাবি করেছেন তিনি৷ যখন অবস্থা এখনকার তুলনায় একটু খারাপ ছিল তখনও বিশ্বের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি শহরটি নিরাপদে দেখে গেছেন – এ কথা জানিয়ে মানাউসের মেয়র আরো বলেন, ‘‘প্রিন্স চার্লস অনেকবার এসেছেন, কখনো কুমিড়ের কামড় খেয়ে ফিরতে হয়নি তাঁকে৷ বিশ্বকাপের সময় মানাউসের স্টেডিয়ামে গান গাইতে চান এলটন জন৷ আশা করি তাঁকেও সাপে কামড়াবে না!''
বিশ্বকাপের আগে ভেন্যু নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য এর আগেও দিয়েছে ডেইলি মিরর৷ ২০১০ বিশ্বকাপের আগে আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে লিখেছিল, সে দেশের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় শত শত কুকুর৷ রেস্তোরাঁগুলো সেই কুকুর ধরে নিয়ে কেটেকুটে রান্না করে খাওয়ায়৷ তার আগে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে ট্যাবলয়েডটিতে লেখা হয়েছিল, জার্মানিতে নাকি এখনও অনেক নাৎসিবাদী দিনে দুপুরে ঘুরে বেড়ায় আর ব্রিটিশদের খুঁজে পেলেই নাকি ধরে নিয়ে আচ্ছা মতো পেটায়৷ বলা বাহুল্য, দক্ষিণ আফ্রিকা আর জার্মানি সম্পর্কে দুটি তথ্যই ছিল হাস্যকর৷
এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)