নানা বার্তার বিপরীতে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের প্রস্তুতি
৯ জানুয়ারি ২০২৪মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ব্রুনেই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতরা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তবে তার আগে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে আসে ভিন্ন বার্তা৷
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মনে করে, বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি রাখছে দারা৷ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পরিবেশ তৈরির আহবান জানিয়েছেন৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশে বুধবার সংসদ সদস্যরা এবং বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছে৷ বিএনপি ও তাদের সমমনাদের বর্জন ও তাদের নির্বাচনবিরোধী কর্মসুচির মধ্যেই ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন হয়৷ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনের ফলফলে ২২২টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে৷ জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসনে৷ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে একটি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নৌকা প্রতীক নিয়ে একটি আসনে জয়ী হয়েছে৷ এছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি হাতঘড়ি প্রতীক নিয়ে একটি আসনে এবং বাকি ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেন৷ মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে৷ গেজেটে ভোটের হার ৪১.৯৯ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি৷ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ৷” বিবৃতিতে বলা হয়, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে৷ যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন৷”
ওয়াশিংটন সব দলকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷”
এদিকে যুক্তরাজ্য বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি৷ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর৷ মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান৷ নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি৷ ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন৷''
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে- উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সক্রিয় নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে৷”
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, "বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা দেখছে জাতিসংঘ৷ সেখানে কী ঘটছে অব্যাহতভাবে তা অনুসরণ (ফলো) করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব৷ বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও তিনি জানেন৷ অর্থাৎ, আমি বলতে চাচ্ছি, ভিন্নমত ও সমালোচকদের কণ্ঠরোধ ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি জানেন৷”
তিনি বলেন, "জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তিনি সব পক্ষকে সব রকম সহিংসতা পরিহার এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এটি গণতন্ত্রের সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য৷”
আর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বাংলাদেশ কঠিন পথে গণতন্ত্র অর্জন করেছিল, সেটিকে কৃত্রিমতায় পর্যবসিত করা যাবে না৷ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং আমি আন্তরিকভাবে আশা করবো এটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হবে৷ সকল বাংলাদেশির ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে৷''
টুর্ক বলেন, "ভোটের আগে কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার বিরোধীদলের সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা হয়েছে অথবা ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে৷ ওই ধরণের কৌশল সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে সহায়ক নয়৷”
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নির্বাচনের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করেন না বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "এখানে তো কোনো নির্বাচনই হয়নি৷ বিদেশিরা বলছেন সুশৃঙ্খল হয়নি৷ তাদের বক্তব্য আরো পরিস্কার হলে ভালো হতো৷ যেখানে শতকরা দুই-তিন ভাগ ভোট পড়ে নাই৷ এমন কোনো কেন্দ্র নাই যেখানে প্রশাসনের সহায়তায় জালিয়াতি হয় নাই৷ বিদেশিদের অস্থান আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত৷ যারা ভোট জালিয়াতি করেছে, প্রতারণা করেছেন তাদের ব্যাপারে বিদেশিদের আরো স্পষ্টভাবে অবস্থান নেয়া উচিত৷ তারা যা বলেছে এখানে নির্বাচন নিয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতারণা হয়েছে৷”
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বিদেশিদের জানাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷”
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন," আমরা ভোট বর্জন করেছি৷ আমাদের আহ্বানে দেশের মানুষ ভোট বর্জন করেছে৷ এখানে কোনো ভোট হয়নি৷
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷”
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিাক্রিয়া সরাসরি জানতে পারেনি ডয়চে ভেলে ৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিক-পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অবস্থান নিয়ে বলেন, "এগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই৷ জনগণ রায় দিয়েছে এবং অন্যান্য দেশ, আমাদের স্বপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদ দিয়েছে৷ ”
তিনি বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে সেটি নতুন সরকারের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "সবার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে এটা নতুন সরকারের সঙ্গেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি মনে করি৷ নতুন সরকারকে সবাই গ্রহণ করবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে৷ আমরা খুব খুশি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে পেরেছি৷ জনগণ রায় দিয়েছে, এটাই যথেষ্ট৷ আমাদের আর কিছুর দরকার নেই৷ ”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের বক্তব্য যেটা, সেটা গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) দিয়েছেন৷ এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই৷”
তিনি বলেন, "কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে৷ সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয়ে কিছু বলবো না, তবে নিয়ম অনুযায়ী যা করার দরকার, তার সবই করা হয়েছে৷ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে৷”
সাবেক কূটনীতিকরা যা বলেন
সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) এম শহীদুল হক মনে করেন, "যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বলেছে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি তাই তাদের যে নীতি সেই নীতি অনুযায়ী তাদের করণীয় তারা করবে৷ এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে গেছে৷ তারা যে স্টেটমেন্ট দেয় তার অ্যাকাউন্টিবিলিটি থাকতে হয় সিনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের কাছে৷ তারা এর প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নিলো তা জানাতে হয়৷ এখন আমাদের সেটা দেখার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে৷ ”
তার কথা, ‘‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী বললো তার চেয়ে বড় কথা হলো নৈতিকতার পরাজয়৷ এখন আমাদের শুনতে হবে- তোমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করোনি৷ দেশে-বিদেশে সব জায়গায়৷”
আর একসঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামাজিক, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক প্রোগ্রামগুলো চালিয়ে যাবে৷ যেমন আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি৷ তবে তারা শেষ পর্যন্ত কীভাবে সম্পর্কগুলো চালিয়ে নিতে চায় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷”
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, "তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যেভাবে নির্বাচন চেয়েছিল সেভাবে হলো না৷ এটা ভালো খবর নয়৷ তারা কড়া ভাষায় বলেনি, তবে তারা মেসেজটা পরিস্কার করেছে যে, তারা এই ধরনের নির্বাচনে সন্তুষ্ট নয়৷ সাথে সাথে তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নাগরিক সমাজ ও জনগণের প্রত্যাশার কথা বলেছে৷ ”
তার কথা, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু এরপরে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিস্কার নয়৷ অপেক্ষা করতে হবে৷”
তিনি মনে করেন, ‘‘সরকার এই অসন্তুষ্টি খুব বেশি গুরুত্ব দেবে বলে আপাতত মনে হচ্ছেনা৷ তারা মনে করছে এসব ম্যানেজ করে ফেলতে পারবে৷”
আর সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "তারা বিবৃতিতে বলেছে নির্বাচন যথযথ হয় নাই৷ কিন্তু এর ভিত্তিতে তারা কোনো অ্যাকশন নেবে তাতো বলেনি৷ ২০১৮ সালেও তারা বলেছিলো নির্বাচন গণতান্ত্রিক হয় নাই৷ তারপরও তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখেছে৷ সুতরাং দুইটি সম্ভাবনা আছে এখানে৷ তার এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যার ফলে সম্পর্ক আরো খারাপ হয়৷ অথবা গতবারের মতই তারা রিঅ্যাক্ট করবে৷ আমরা এখনো জানিনা তারা কী করবে৷”
তার কথা, "তবে সরকারকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়৷ গত ছয় মাস ধরে যে টানাপোড়ের চলছে সেখান থেকে আমাদেও বেরিয়ে আসতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নাই৷”