ম্যার্কেলকে গুরুত্ব দিন, ফেসবুক-টুইটারে নজর দিন
১২ জানুয়ারি ২০২১ম্যার্কেলমনে করছেন, অ্যাকাউন্ট স্থগিতের বিষয়টি ‘সমস্যাজনক'৷ তিনি মনে করেন, ‘মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারের' বিষয়টি আইনের শাসন ও সরকারের নির্ধারণ করা উচিত, ‘সামাজিক মাধ্যমের ব্যবস্থাপকদের সিদ্ধান্তঅনুযায়ী নয়'৷
ইউরোপে প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার জন্য কাজ করছেন ইইউ কমিশনার থিয়েরি ব্রত্তোঁ৷ ‘পলিটিকো'তে এক প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ‘পিওটিইউএস' (মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল)-এর লাউডস্পিকারের প্লাগ টেনে খুলে ফেলা ধাঁধায় পড়ার মতো একটি বিষয়৷
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী, ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷
জার্মানির এসপিডি দলের সাংসদ ইয়েন্স সিমারমান ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ‘‘ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া অবশ্যই সমস্যার৷ কারণ, আমাদের জানতে হবে, কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, কোন আইন অনুসারে নেয়া হলো, এর ভবিষ্যৎ কী?'' তিনি বলেন, ‘‘একটি কোম্পানির সিইও একজন রাষ্ট্রনেতাকে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছেন না৷ ট্রাম্প জার্মানিতে খুব একটা জনপ্রিয় নন৷ কিন্তু তিনি একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান৷ আজ এটা ট্রাম্পের সঙ্গে হয়েছে৷ কাল অন্য দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে হতে পারে৷ তাই এ বিষয়ে আইন করা দরকার৷''
এ ব্যাপারে জার্মানি ইতিমধ্যে প্রথম পদক্ষেপটি নিয়েছে৷ ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘নেটওয়ার্ক এনফোর্সমেন্ট অ্যাক্ট' চালু আছে৷ এই আইনের কারণে সামাজিক মাধ্যমগুলো ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে লড়তে বাধ্য৷
ইইউ কমিশন এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের উপর নজর রাখা এবং প্রয়োজন হলে মুছে দেয়ার জন্য জার্মানিতে কয়েকশ ‘কন্টেন্ট মডারেটর' নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷
এদিকে, এসব আলোচনার মধ্যেই খবর এসেছে, উগান্ডায় বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নেটওয়ার্ক ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফেসবুকের অভিযোগ, ওই নেটওয়ার্ক ভুয়া ও নকল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন পাতা চালাচ্ছিল, অন্যের পোস্টে মন্তব্য করছিল এবং কোনো পোস্টকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন গ্রুপে পুনরায় শেয়ার করছিল৷
প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এমন প্রভাব মোকাবিলায় এখনই বৈশ্বিক একটি নীতিমালা দরকার৷ জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো কেমন চলছে, তা বিবেচনায় নিয়ে সবার জন্য প্রযোজ্য একটি নীতিমালা করার সময় এসে গেছে৷ শুধু টাকা কামিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না, এমন এক বার্তা সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে দিতে হবে৷ প্রয়োজনে জাতিসংঘে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷