জামাইকে উপদেষ্টা বানালেন ট্রাম্প
১০ জানুয়ারি ২০১৭সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর জামাতা জারেড কুশনারের নাম ঘোষণার পর থেকেই এই পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে আলেচনা শুরু হয়েছে৷ জারেড কুশনার বাণিজ্য সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা ও মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর দেবেন বলে জানা গেছে৷
ট্রাম্পের নির্বাচনি অভিযানে কুশনার পুরোটা সময় জুড়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন৷ উপদেষ্টা হিসেবে কুশনারের নিয়োগ ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘জারেড গোটা ক্যাম্পেইন এবং ট্র্যানজিশনের সময় অত্যন্ত মূল্যবান ও বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ছিল এবং তাকে আমার প্রশাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় রাখতে পেরে আমি গর্বিত৷''
‘‘কুশনার প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য চিফ অফ স্টাফ রাইন্সে প্রিবাস ও চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন'' বলে বিবৃতিতে জনানো হয়৷
স্বজনপোষণ বিরোধী আইন
কুশনারের পক্ষে এক আইনজীবী যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ফেডারাল স্বজনপোষণ বিরোধী আইনটি কুশনারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ ঐ আইন অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের নিজেদের আত্মীয়দের সরকারি নিয়োগ দিতে পারেন না৷ কুশনার ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভানকার স্বামী৷
উইলমার-হেল আইনজীবী কার্যালয়ের অংশীদার জেমি গোরলিক তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘‘মিস্টার কুশনার ফেডারাল নৈতিকতার আইনসমূহ মেনে চলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তাঁর কী করা উচিত সে বিষয়ে আমরা অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিক্স-এর সঙ্গে কথা বলছি৷ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, কিন্তু মিস্টার কুশনার ‘কুশনার কোম্পানিজ' থেকে পদত্যাগ করবেন ও ফেডারাল নীতিমালা অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির একটা বড় অংশ হস্তান্তর করবেন৷''
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, আইন যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেজন্য কুশনারের পদের নাম বদলে নেওয়া হতে পারে৷
ইভানকা কোনো পদ নিচ্ছেন না
ইভানকা ট্রাম্প তাঁর স্বামীর মতো হোয়াইট হাউসে কোনো বিধিবদ্ধ পদ নিতে পারেন বলে যে গুজব শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্পের ট্র্যানজিশন টিমের কর্মকর্তারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইভানকা আপাতত তাঁর পরিবারকে নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়ে আসতে ব্যস্ত৷ তবে তিনি যে ভবিষ্যতে কোনো ভূমিকা নিতে পারেন, কর্মকর্তারা এ সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেননি৷
স্বার্থের সংঘাত
সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬১ সালে তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করেন৷ ১৯৬৭ সালে ফেডারাল স্বজনপোষণবিরোধী আইন গৃহীত হয়, কিন্তু এই আইন শুধুমাত্র মন্ত্রীসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, হোয়াইট হাউসে নিয়োগের ক্ষেত্রে নয় বলে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের বিশ্বাস৷
ট্রাম্প উপদেষ্টা কেলিয়ান কনওয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বিরোধী আইনে দৃশ্যত একটি ব্যতিক্রম আছে, ‘‘কেননা প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজের স্টাফ নিয়োগ করতে পারেন৷''
এসি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, এনওয়াইটি)
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷