ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনীতিতে অজ্ঞ!
১২ ডিসেম্বর ২০১৬মার্কিন ফক্স টেলিভিশনকে রবিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চীন সম্পর্কে ট্রাম্পের একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যৎ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলে ঐ দৈনিকটি৷ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি বুঝতে পারেন না কেন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক চীন' নীতি মেনে চলতে হবে৷ কদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর টেলিফোন আলাপ সঠিক ছিল বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷
উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য মনে করে যেটি ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে একত্ব হওয়ার অপেক্ষায় আছে৷ অবশ্য গত ৬০ বছর ধরে তাইওয়ান চীনের নিয়ন্ত্রণে নেই৷ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের বন্ধু রাষ্ট্র হলেও এবং তাদের কাছে অনেক অস্ত্র বিক্রি করলেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে দেশটি ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে৷ অর্থাৎ সেই সময় থেকে ‘এক চীন' নীতিকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র৷
কিন্তু কয়েকদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প৷ এতে চীনা নেতারা অবাক হলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাননি৷ কিন্তু রবিবার ‘এক চীন' নীতি নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে চীন৷
গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় চীনা ভাষায় প্রকাশিত এক সংবাদভাষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাড়ায় তাহলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের সহায়তা' দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়৷ ‘‘ট্রাম্পের উসকানির প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের সমর্থন, এমনকি সামরিক সহায়তা দিতে পারে,'' বলে সংবাদভাষ্যে লেখা হয়েছে৷
ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকেও৷ গেঙ শুয়াং বলেন, ‘‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তি হল ‘এক চীন' নীতি৷ সেটি যদি ব্যাহত হয় তাহলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হবে৷ ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আর কোনো সুযোগ থাকবে না৷''
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)