1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের ‘আনাড়ি’ কূটনীতিতে রুষ্ট চীন

৬ ডিসেম্বর ২০১৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের ফোন কল নিয়ে ও চীনের নীতি সম্পর্কে দু'টি টুইট করে বেইজিং-এর বিরাগভাজন হয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের চীন প্রোটোকলের পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/2ToGU
Bildkombo Donald Trump Xi Jinping

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ভেন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন৷ প্রায়  ৪০ বছরের কূটনৈতিক রীতিনীতি ভেঙে সেই কল গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কাজেই বেইজিং-এর রোষ বোধগম্য৷ আগামীতে ট্রাম্প চীনের প্রতি কড়া মনোভাব প্রদর্শন করবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলেছে বিশেষজ্ঞ মহলে৷

চীন সম্পর্কে রবিবার ট্রাম্প যে দু'টি টুইট করেন, সে দু'টি ছিল:

‘‘চীন কি আমাদের জিগ্যেস করেছিল যে, তাদের মুদ্রার বিনিময়মূল্য হ্রাস করা (যার ফলে আমাদের কোম্পানিদের পক্ষে প্রতিযোগিতা করা আরো শক্ত হবে), তাদের দেশে আমাদের যে সব পণ্য ঢুকছে, সেগুলোর ওপর ভারী কর বসানো (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করে না), অথবা দক্ষিণ চীন সাগরের মাঝখানে একটা সুবিশাল সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা, এ সব চলবে কিনা? আমার তো মনে পড়ে না!''

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘পিপলস ডেইলি'-র বৈদেশিক সংস্করণের প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি সংবাদভাষ্যে ঘোষণা করা হয়েছে: ‘‘বিরোধের প্ররোচনা দেওয়া আর চীন-মার্কিন সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ‘অ্যামেরিকাকে আবার বড় করা যাবে না'৷''

জাতীয়তাবাদি গ্লোবাল টাইমস সংবাদপত্রের চীনা সংস্করণেও ট্রাম্পের ‘‘মুখ বন্ধ রাখতে না পারা'' ও তাঁর ‘‘প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের'' সমালোচনা করা হয়েছে৷ পত্রিকাটির ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পকে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে যে, তিনি ‘‘যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু তার ফলে তিনি ‘মেজর পাওয়ার গেম'-এর রীতিনীতি থেকে মুক্ত নন৷'' তাঁর হাতে চীনের প্রতি প্ররোচনামূলক হওয়ার জন্য ‘‘পর্যাপ্ত রসদ'' বা ‘রিসোর্সেস' নেই, বলে মন্তব্য করেছে গ্লোবাল টাইমস৷ ইংরেজি ভাষার চায়না ডেইলি লিখেছে: ‘‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁর হঠকারিতার জন্য কিছুটা ক্ষমা প্রত্যাশা করতে পারেন৷ কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট হবার পরে ব্যাপারটা অন্যরকম দাঁড়াবে৷''

সব সত্ত্বেও পশ্চিম তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সাবেক কূটনীতিক বেইজিং-এর ‘আত্মসংযমে' মুগ্ধ৷

কিন্তু ট্রাম্প যে মার্কিন-চীন সম্পর্কের চিরাচরিত রুলবুক মানতে রাজি নন, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন৷ তাঁর ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট যে এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির রণাঙ্গণে মোক্ষম অস্ত্রে পরিণত হতে পারে – বিশেষ করে যখন তিনি এ পর্যন্ত তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন করে উঠতে পারেননি – সেটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের ঘামিয়ে তুলছে বৈকি৷

এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য