রিভিউয়ের সুযোগ নিয়ে বিতর্ক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩যুদ্ধাপরাধ মামলায় একমাত্র কাদের মোল্লার বিচার প্রক্রিয়াই শেষ হল৷ এখন এই রায় কার্যকর করার অপেক্ষা৷ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডয়চে ভেলেকে জানান, এখন আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবে৷ সেখান থেকে রায় পাঠানো হবে কারাগারে৷ কারা কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যবস্থা নেবেন৷ আর তা ৪৫ দিনের মধ্যে করার বিধান আছে৷ তিনি জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে আর কোন আপিল বা রিভিউয়ের সুযোগ নাই৷
শুধুমাত্র কাদের মোল্লা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন৷ তা বিবেচনা করা বা না করা রাষ্ট্রপতির এক্তিয়ার৷ অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন৷ এই আইনের ৪৭ (ক) ধারা অনুযায়ী আপিল বিভাগের রায়ের পর আর কোন রিভিউয়ের সুযোগ নাই৷ ১০৫ অনুচ্ছেদে রিভিউয়ের যে সুযোগের কথা বলা হয়েছে, তা এই আইনে প্রযোজ্য নয়৷
এই মামলায় আপিল বিভাগে মতামতদানকারী আইনজীবীদের একজন এমিকাস কিউরি ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামও ডয়চে ভেলেকে একই কথা বলেন৷ তিনি বলেন, এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া মূলত শেষ৷ এখন শুধু রায় কার্যকর করার অপেক্ষা৷
তবে কাদের মোল্লার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দেন ভিন্ন ব্যাখ্যা৷ তিনি বলেন, আপিল বিভাগ কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন৷ ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল৷ কিন্তু কাউকে ফাঁসির দণ্ড দেয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ হল উচ্চতর আদালতে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি৷ কিন্তু আপিল বিভাগের রায় হওয়ায় সেই সুযোগ নেই৷ তাই আর আপিলের সুযোগ না থাকায় অবশ্যই কাদের মোল্লা রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ আরেকজন এমিকাস কিউরি ব্যারিস্টার রফিকুল হক ব্যারিস্টার রজ্জাকের সঙ্গে একমত পোষণ করেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন করার সুযোগ নেই একথা ঠিক নয়৷ আর এই রিভিউ আবেদন করা যাবে আপিল বিভাগেই৷ যে বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন, রিভিউ আবেদন বিবেচনা করার এক্তিয়ার তাদেরই৷
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী বুধবার সকাল থেকে সারা দেশে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে৷