1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোল্লার আপিলের রায় মঙ্গলবার

সমীর কুমার দে, ঢাকা১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধপরাধীরা এবার নির্বাচনে অযোগ্য হচ্ছেন৷ যুদ্ধপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷

https://p.dw.com/p/19iLT
ছবি: AP

এদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার আপিলের রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ৷ এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে৷ ওই রায়ের বিরুদ্ধে শাহবাগে প্রতিবাদ শুরু হয়৷ পরে সেই প্রতিবাদ গণপ্রতিবাদে রূপ নেয়৷ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে তার মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলা হয়৷ অবশেষে সরকার আইন সংশোধন করে৷ পরে সরকার ও কাদের মোল্লার পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়৷ সরকারপক্ষ তার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করে৷

Bangladesh Protest gegen Kriegsverbrecher
কাদের মোল্লার রায়েক ঘিরেই শাহবাগে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিলছবি: REUTERS

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছিল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন৷ সংশোধিত আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্তদেরও এর আওতায় আনা হয়েছে৷ ট্রাইব্যুনালের মামলায় দণ্ডিত যারা আপিল করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে খসড়ায় কিছু বলা হয়নি৷ তবে এর আগে বাহাত্তরের দালাল আইন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে সাজাপ্রাপ্তদের ভোটার হওয়ার পথ বন্ধ করতে গত ২রা সেপ্টেম্বর ভোটার তালিকা আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা৷

এর আগে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অযোগ্য করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও) সংশ্লিষ্ঠ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)৷ যদিও বিদ্যমান আইনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের (ওয়ার ক্রাইম) নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে৷ তবে এই সংশোধনীতে যে কোন অপরাধকে ‘দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুন্যালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩'-র শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়৷

আরপিও সংশোধনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অযোগ্য করে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব তাঁরা করেছেন৷ বর্তমান আরপিওতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের (ওয়ার ক্রাইম) নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে৷ এখন এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়৷ রায়ে এখন পর্যন্ত ছয় জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, যাদের চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ দণ্ডপ্রাপ্ত জাময়াত নেতারা হলেন – গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান ও আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার৷ শুধুমাত্র বাচ্চু রাজাকার ছাড়া সবাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন৷

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেছেন, আরপিও সংশোধন করে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়সীমাও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে৷ এ আইন পাশ হলে আগামী নির্বাচনে একজন প্রার্থী ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন, আগে যা ১৫ লাখ টাকা ছিল৷ তবে দলীয় প্রধানদের নির্বাচনী ভ্রমণ এই ব্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হবে না বলে সচিব জানান৷ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলে ব্যক্তির অনুদান সীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে৷ আর সংস্থার অনুদানের ক্ষেত্রে সীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িযে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য