যুদ্ধাপরাধীরা ভোটার
২ সেপ্টেম্বর ২০১৩মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা জানান, জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আইনের খসড়া বিল আকারে উত্থাপিত হবে এবং এই অধিবেশনেই সেটি পাস হওয়ার কথা৷
আইনটি পাস হলে দালাল আইন ১৯৭২ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর আওতায় কোনো ব্যক্তি দণ্ডিত হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে৷ তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন৷ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ, ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে জানান, যুদ্ধাপরাধীরা যেহেতু ভোটার হতে পারবে না তাই তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগও থাকবেনা৷ তারা রাজনীতি এবং সামাজিক অনেক বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন৷
এপর্যন্ত মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৬ জন দণ্ডিত হয়েছেন৷ তাঁরা হলেন, জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদ, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কামারুজ্জামান, গোলাম আযম এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ৷ বিচার চলছে আরো ৫ জনের৷ তদন্ত চলছে আরো অনেকের বিরুদ্ধে৷
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম জানান এই আইনটির অনেক প্রয়োজন ছিল৷ এর আগে একাধিকবার ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে বলেছে যুদ্ধাপরাধীরা যাতে রাষ্ট্র এবং সমাজের কোনো পদে বা কাজে নিয়োজিত হতে না পারে তার ব্যবস্থা করবে সরকার৷ এই আইনটি পাস হলে যুদ্ধাপরাধীরা দেশের মন্ত্রী-এমপি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরতে পারবেনা৷
তিনি বলেন অতীতে নানাভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ আর তারা দম্ভ করে বলেছে, ‘বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেনি৷' তিনি বলেন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও দলীয় প্রতীক না হোক স্বতন্ত্র বা অন্য কোনোভাবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল৷ কিন্তু নতুন এই আইনে জামায়াতসহ যে-কোনো দলের যুদ্ধাপরাধীরা নির্বাচন করতে পারবেন না৷ হারাবেন ভোটাধিকার৷