1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধীরা ভোটার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

যুদ্ধাপরাধীরা ভোটার হতে পারবেন না৷ তাই তাঁরা কোনো নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না৷ মন্ত্রিসভা সোমবার এই আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে৷ আইনজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে রাজনীতি ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/19a7U
Jamaat-e-Islami former aamir Ghulam Azam facing charges of crimes against humanity landed in jail, pending legal procedures, after the International Crimes Tribunal (ICT) rejected his bail plea and asked authorities to put him behind bars on Wednesday. Foto: Harun Ur Rashid Swapan
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইঞা জানান, জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আইনের খসড়া বিল আকারে উত্থাপিত হবে এবং এই অধিবেশনেই সেটি পাস হওয়ার কথা৷

আইনটি পাস হলে দালাল আইন ১৯৭২ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর আওতায় কোনো ব্যক্তি দণ্ডিত হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে৷ তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন৷ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ, ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে জানান, যুদ্ধাপরাধীরা যেহেতু ভোটার হতে পারবে না তাই তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগও থাকবেনা৷ তারা রাজনীতি এবং সামাজিক অনেক বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন৷

এপর্যন্ত মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৬ জন দণ্ডিত হয়েছেন৷ তাঁরা হলেন, জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদ, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কামারুজ্জামান, গোলাম আযম এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ৷ বিচার চলছে আরো ৫ জনের৷ তদন্ত চলছে আরো অনেকের বিরুদ্ধে৷

অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম জানান এই আইনটির অনেক প্রয়োজন ছিল৷ এর আগে একাধিকবার ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে বলেছে যুদ্ধাপরাধীরা যাতে রাষ্ট্র এবং সমাজের কোনো পদে বা কাজে নিয়োজিত হতে না পারে তার ব্যবস্থা করবে সরকার৷ এই আইনটি পাস হলে যুদ্ধাপরাধীরা দেশের মন্ত্রী-এমপি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরতে পারবেনা৷

তিনি বলেন অতীতে নানাভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ আর তারা দম্ভ করে বলেছে, ‘বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেনি৷' তিনি বলেন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও দলীয় প্রতীক না হোক স্বতন্ত্র বা অন্য কোনোভাবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল৷ কিন্তু নতুন এই আইনে জামায়াতসহ যে-কোনো দলের যুদ্ধাপরাধীরা নির্বাচন করতে পারবেন না৷ হারাবেন ভোটাধিকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য