‘ইয়াবা’ চোরাচালান
১১ জুলাই ২০১২বাংলাদেশের টেকনাফ অঞ্চল থেকে ২০১০ সালে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা আটক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজিবি৷ ২০১১ সালে আটক করে ১ লাখ ৭৩ হাজার৷ আর চলতি বছরের সাড়ে ছয় মাসে, এপর্যন্ত আটক করা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার পিস ইয়াবা৷ ইয়াবা পরিবহনের দায়ে আটক করা হয়েছে ২ শতাধিক লোককে৷ বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ হাসান ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গার কারণে গত একমাস ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ ছিল৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় মাদক চোরাচালানকারীরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ সোমবার রাতে বিজিবি নাফ নদী থেকে প্রায় ২৩ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছে, যার দাম ৬৫ লাখ টাকা৷
কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, নাফ নদী থেকে জাহাজ এবং ইঞ্জিন চালিত বোটে করে এসব ইয়াবা বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানকারীরা৷ তবে চালান ছোট হলে তা সড়ক পথেও আনা হয়৷ কিন্তু তারা শুধু ক্যারিয়ারদেরই আটক করতে পারেন৷ মূল চোরাচালানকারীরা থাকে আড়ালে৷ কারণ ক্যারিয়াররা নিজেরাও তাদের চেনেনা৷
এই ইয়াবা শুধু টেকনাফ কক্সবাজারেই সীমাবদ্ধ থাকেনা৷ ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশে৷ বলা বাহুল্য, বিশেষ করে তরুণ সমাজই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের টর্গেট৷ একটি ইয়াবা ট্যাবলেট কোথাও কোথাও ৫/৬শ' টাকায়ও বিক্রি হয়৷
ইয়াবা এক ধরণের উত্তেজক ট্যাবলেট৷ বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, তারা ইয়াবা'র চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে টহল বাড়িয়েছেন৷ কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধে মাদক বিরোধী ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ