1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোজার মাস

উলরিকে হুমেল/এসি৬ জুলাই ২০১৩

জার্মান সেনাবাহিনীর প্রায় আড়াই লাখ সৈন্যের মধ্যে হাজার খানেক মুসলমান৷ সামনে রোজার মাস, যখন তাঁদের সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস করার কথা৷ আর সেটাই অনেকের পক্ষে বেশ সমস্যাজনক৷ কিন্তু কেন?

https://p.dw.com/p/192rc
ছবি: Ulrike Hummel

চাউকি আকিল একটি সাপ্লাই ব্যাটেলিয়নে প্লেটুন সার্জেন্ট৷ তাঁর কাজ হলো মালপত্র পরিবহণের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সৈন্যদের তদারকি করা৷ কাজটা পুরো মনঃসংযোগ না থাকলে করা সম্ভব নয়, বলেন ৩০ বছর বয়সি আকিল৷

৯ জুলাই থেকে রোজা শুরু হতে চলেছে৷ স্থানটা জার্মানি হলে সমস্যা এক রকম, আবার ধরা যাক আফগানিস্তান হলে আরেক রকম৷ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি নিরম্বু উপবাস করতে হবে৷ আফগানিস্তানের প্রচণ্ড গরমে কাজটা সহজ নয়, বিশেষ করে যদি সেই সঙ্গে মালপত্র আর সৈন্যদের দায়িত্ব থাকে৷

কাজেই আকিলের কর্মস্থান আফগানিস্তান হলে তাঁর বিবেকই তাঁকে বলে দিত, তুমি এই ঝুঁকি নিতে পারো না৷ জার্মান সেনাবাহিনীতে অন্যান্য যে সব মুসলমান সৈন্য আছেন, তাদেরও ঐ এক দশা৷ সবাই জার্মানিতে মানুষ, সেখানকার আবহাওয়াতে অভ্যস্থ৷ আফগানিস্তানের গ্রীষ্ম তাদের পক্ষে দুঃসহ৷ খাবার না খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু পানি?

আকিল আপাতত জার্মানির উন্না শহরের সেনা ছাউনিতে নিযুক্ত৷ খেলাধুলা এবং গুলিচালনা অভ্যাসও এখানে কাজ হিসেবেই গণ্য হয়৷ ওদিকে জার্মানিতে গ্রীষ্মে দিনে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আলো থাকে৷ কাজেই রোজা রাখাটা এখানেও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে সেনাবাহিনী যথাসাধ্য করে৷ উদাহরণস্বরূপ: সৈন্যশিবিরের ক্যান্টিন ভোররাতে কিংবা মাঝরাতে খোলা থাকার কথা না – কিন্তু আকিলের মতো সতীর্থদের কথা ভেবে ক্যান্টিনের কর্মীরা সে ব্যবস্থাও করে রেখেছেন৷

জার্মানিতে জন্তু-জানোয়ার হালাল করা নিষিদ্ধ, কাজেই হালাল গোস্তের ব্যবস্থা না থাকলেও, মুসলমান সৈন্যদের জন্য সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে আলাদা করে, আলাদা হাতাখুন্তি দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অপরদিকে, দৈনন্দিন সামরিক সেবার ফাঁকেফোকরে যতদূর সম্ভব, আকিল তাঁর পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে ইফতার করার চেষ্টা করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য