মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান
১৫ মে ২০১৯মিশনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সরকার এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি৷ রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নির্যাতনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন তারা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়৷
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বিষয়ক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মারসুকি ডারুসমান মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোতে ১০ দিনের এক সফর শেষে বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল৷ কিন্তু দুঃখজনক হলো, তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি৷'' তিনি আরো বলৈন, এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই৷ তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত, যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে৷ পশ্চিমা দেশগুলো যদি এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে তা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে চাপের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার পর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে৷ ঘটনার এক বছর পর প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে৷ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে৷
পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার মানুষগুলোকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া, মিয়ানমারের উপর অস্ত্র নিষেধজ্ঞা আরোপ, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র সমূহের সাথে মিয়ানমারের সম্ভাব্য সম্পর্কসহ ১৪ টি বিষয়ে সুপারিশ করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন৷ এছাড়া এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার৷
রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে৷
আরআর/এসিবি (এএফপি, এপি)