মিয়ানমারের আশ্বাসে আশাবাদী বাংলাদেশ
২০ জানুয়ারি ২০২১মঙ্গলবার ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন অনেক ফ্যাক্টরস আছে, এসব মাথায় রেখে, ইতোপূর্বে যেহেতু দুইটা ডেট দিয়ে আমরা সফল হতে পারিনি, এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের৷ ব্যক্তিগতভাবে আমি কশাসলি অপটিমিস্টিক, আমাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সৌল৷”
দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিয়ে যেতে কয়েক বছর লেগে যাবে, তাছাড়া গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন শিশুর জন্মগ্রহণ করার কথাও জানান তিনি৷ তার মতে, এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করার কোনো বিকল্প নেই৷
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দেড় ঘন্টার সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুই এবং মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান৷
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব৷
বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং হবে বলে মাসুদ বিন মোমেন জানান ৷ গ্রাম বা অঞ্চলভিত্তিক প্রত্যাবাসন নিয়ে শেষের দিকে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ে পাইলট আকারে (প্রত্যাবাসন) করার কথা ছিল, সেটার আলোকে শুরু হবে বলে তিনি জানান৷
ছয় দফায় মোট ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার, যার মধ্যে ৪২ হাজারের ভেরিফিকেশন করেছে মিয়ানমার৷ রাখাইনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক অংশগ্রহণে চীনের দিক থেকে বক্তব্য এলেও মিয়ানমার এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)