মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন'
৭ মার্চ ২০১৮তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন এখনও চলছে৷ কক্সবাজারে আমি যা দেখেছি, শুনেছি, মনে হয় না এর বাইরে অন্য কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারি৷
‘‘নির্যাতনের প্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে৷ রক্তপাত আর গণধর্ষণ থেকে সরে এসে এখন রোহিঙ্গাদের ভয় দেখানো ও তাঁদের অনাহারে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ মিয়ানমারে এখনও থাকা রোহিঙ্গারা যেন পালিয়ে যায় সে লক্ষ্যে এমন করা হচ্ছে,'' এক বিবৃতিতে বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব গিলমুর৷
অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি ‘অচিন্ত্যনীয়' বলেও মনে করছেন তিনি৷ ‘‘মিয়ানমারের সরকার বিশ্বকে এটা বলতে ব্যস্তযে তারা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে৷ একই সময়ে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করছে৷'' বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাওয়া অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন গিলমুর৷
উল্লেখ্য, সাংবাদিক, কূটনীতিক ও ত্রাণ সংস্থাদের উত্তর রাখাইনে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার৷ শুধু মাঝেমধ্যে সরকারের তত্ত্বাবধানে ট্যুরের ব্যবস্থা করা হয়৷
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জেমস গোমেজ বলেন, জাতিসংঘের পাওয়া নতুন তথ্য ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের পাওয়া তথ্যের প্রতিধ্বনি'৷
হাতির হামলায় ১০ রোহিঙ্গার মৃত্যু
কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরটি যেখানে অবস্থিত সেটি একসময় বুনো হাতির বিচরণ এলাকা ছিল৷ ঐ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের মধ্যে খাবারের সন্ধানে যাতায়াত করতো হাতি৷ কিন্তু এখন সেখানে রোহিঙ্গা শিবির থাকায় হাতিরা সমস্যায় পড়েছে৷ মাঝেমধ্যে তারা হাতিরা শিবিরের মধ্যে ঢুকে পড়ে৷ এমন কয়েকটি ঘটনায় ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এসব ঘটনায় অনেক রোহিঙ্গা আহতও হয়েছেন৷ শিবিরে থাকা তাদের জিনিসপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার' বা আইইউসিএন-এর সঙ্গে একটি প্রকল্প শুরু করেছে৷ এর আওতায় হাতি যেন শিবিরে ঢুকতে না পারে সেজন্য কী করতে হবে সে ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)