‘মিয়ানমারে প্রতিবাদকারীদের হত্যা ও গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে’
৪ মার্চ ২০২১এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি তিনি শান্তিপ্রিয় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারকে প্রতিবাদকারীদের হত্যা এবং গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে৷’’
কিন্তু এ আহ্বানে দৃশ্যত কোনো কাজ হয়নি৷ অং সান সু চি-র মুক্তি এবং সামরিক শাসনের অবসান দাবিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এখনো চলছে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট জানান, বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪ জন মারা গেছেন৷ গ্রেপ্তার হয়েছেন কমপক্ষে ১৭০০ জন৷
বৃহস্পতিবারও রাজধানী ইয়াঙ্গন, মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মোনায়া, ইয়াঙ্গনের দক্ষিণের শহর পাথেইনসহ বেশ কয়েক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়েছে৷
তা সত্ত্বেও দেশের প্রায় সব শহরই অং সান সু চি-র মুক্তির দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়েছে৷
তবে মান্দালায় শহর ছিল শোক আর আতঙ্কের চাদরে ঢাকা৷ বুধবার সেই শহরে পুলিশের গুলিতে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী মারা যান৷ মৃত্যুর সময় তার গায়ের টি-শার্টে লেখা ছিল, ‘‘সব ঠিক হয়ে যাবে৷’’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মান্দালায়ের আকাশে খুব নীচ দিয়ে সামরিক বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমানকে টহল দিতে দেখা যায়৷ স্থানীয়রা মনে করেন, এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে৷ যুদ্ধবিমান টহল দেয়ার পরও সেই শহরে নিহত তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছে৷ শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা তরুণীকে শেষ বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতায়৷
অং সান সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি এক বিবৃতিতে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে৷
এদিকে জাতিসংঘে মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্র্যানার বার্গানার বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান সো উইনকে তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ না করলে সেনাবাহিনীকে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন৷ তবে তিনি জানান, জবাবে সো উইন বলেছেন, ‘‘আমরা অর্থনৈতিক অবরোধে অভ্যস্ত হয়ে গেছি৷ ওসব সহ্য করেই আমরা টিকে আছি৷’’
এসিবি/কেএম (রয়টার্স)
১ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...