মিশরে বিদেশিরা আছেন বিপদে
১৬ জুলাই ২০১৩মুরসির সমর্থকরা মনে করেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাত রয়েছে৷ আর মুরসি বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুডের আজকের এই পর্যায়ে আসাটা বসে বসে দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এ সব কারণে কায়রোর রাস্তার ধারে এখন মার্কিন বিরোধী বড় ব্যানার চোখে পড়ে অহরহই৷
বেশি বিপদে সিরীয় শরণার্থীরা
ক'দিন আগে মিশরের সেনাবাহিনী অভিযোগ করে যে, মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ নিয়ে মুরসি বিরোধীদের উপর গুলি ছুঁড়েছে সিরীয় শরণার্থীরা৷ এরপর থেকে মিশরে সিরীয় নাগরিকদের যেন একটু অন্যভাবে দেখছেন সাধারণ মিশরীয়রা৷ ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সিরীয় শরণার্থীদের৷ যেমন কায়রোতে বসবাসকারী ২৭ বছরের এক সিরীয় শরণার্থী আহমেদ বলছেন, তিনি এখন আর মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছেন না৷ ‘‘রাস্তার পাশের ক্যাফেতে বসে যখন সিরীয়দের সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে শুনি তখন আমার কষ্ট লাগে'', বলেন তিনি৷
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট মুরসির আমলে ভিসা ছাড়াই মিশরে ঢুকতে পেরেছেন সিরীয় শরণার্থীরা৷ তাদের অনেকের কাছে এখন মিশরে থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই৷ কিন্তু বর্তমান সেনা সমর্থিত সরকার ভিসা ব্যবস্থা চালু করায় এই সিরীয় নাগরিকদের মনে এক ধরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ তারা মনে করছেন, এবার হয়ত তাদের ধরে মিশর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে৷ এই ভয়ে অনেকে তাদের ঠিকানা পরিবর্তন করে অনেকটা আত্মগোপনে আছেন৷
ফিলিস্তিনিদের বিপদ
ভালো নেই ফিলিস্তিনিরাও৷ কেননা মিশরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সেদেশের অনেকে ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে৷ এছাড়া, ২০১১ সালে বিপ্লবের সময় এখনকার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি হামাসের সাহায্য নিয়েই কারাগার ভেঙে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়৷ ফলে ফিলিস্তিনি মানেই হামাস – এমন একটা সাধারণ ভাবনা জন্ম নিয়েছে মিশরের বহু সাধারণ মানুষের মনে৷ একই কারণে ফিলিস্তিনিদের উপর আলাদা নজর রাখছে মিশরের সামরিক বাহিনীও৷