মার্কিন নৌঘাঁটিতে সৌদি নাগরিকের গুলি, নিহত ৪
৭ ডিসেম্বর ২০১৯এক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন সেনা স্থাপনায় এটি দ্বিতীয় হামলার ঘটনা৷
নৌঘাঁটিটিতে ১৬ হাজার মানুষ চাকরি করেন, এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বেসরকারি নাগরিক৷ তবে সামরিক স্থাপনা হলেও এর আশেপাশে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছাড়া অন্য কাউকে অস্ত্র বহন করতে দেয়া হয় না৷
সকাল সাতটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে৷ একটি ক্লাসরুমে হামলাকারী বন্দুক নিয়ে হামলা চালান৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ডেপুটি শেরিফের গুলিতে মারা যান বন্দুকধারীও৷ এ হামলায় তিন জন মারা যান, আহত হন আরো সাত জন৷ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
আহতদের দুজন শেরিফের ডেপুটি হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ একজনের হাতে ও অপরজনের পায়ে গুলি লাগলেও তারা আশংকামুক্ত বলে জানা গেছে৷
শেরিফ ডেভিড মরগান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘‘ঘটনাস্থলে হাঁটার সময় মনে হচ্ছিল সিনেমার শ্যুটিং-এর সেটের মধ্যে হাঁটছি৷''
হামলাকারী সৌদি বৈমানিক
ঘটনার পর হামলাকারী সৌদি নাগরিক বলে শনাক্ত করা হয়৷ সৌদি বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি৷
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস বলেন, ‘‘হামলাকারী বিদেশি নাগরিক, সৌদি বিমানবাহিনীর সদস্য এবং আমাদের মাটিতেই প্রশিক্ষণ নিতে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে৷ এসব নিয়ে অবশ্যই অনেক প্রশ্ন উঠতে চলেছে৷ সৌদি সরকারকে হতাহতের পরিবারগুলোর প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে৷''
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সৌদি বাদশাহ সালমান তার কাছে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷
সহায়তার অঙ্গীকার
হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান৷ ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাস এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে বাদশাহর ফোন করার বিষয়টি জানিয়েছে৷
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যে এমন জঘন্য অপরাধ করেছে, সে সৌদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না৷ সৌদি জনগণ মার্কিন জনগণকে বন্ধু মনে করে৷''
বাদশাহ সালমান এই হামলার পেছনের কারণ কী, তা নির্ধারণে মার্কিন সংস্থাগুলোকে সহায়তার জন্য সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে৷
এডিকে/(এপি, এএপপি, রয়টার্স)