1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াত ‘‘সন্ত্রাসী সংগঠন’’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ জুলাই ২০১৩

গোলাম আযমের মামলার রায়ে শাস্তির অংশ ছাড়া আর সব কিছুকেই ঐতিহাসিক বলছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা৷ এই রায়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় কোনো পদে আসীন না করার কথাও বলা হয়েছে৷ আর জামায়াতকে বলা হয়েছে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন৷

https://p.dw.com/p/1980r
Jamaat-e-Islami former aamir Ghulam Azam facing charges of crimes against humanity landed in jail, pending legal procedures, after the International Crimes Tribunal (ICT) rejected his bail plea and asked authorities to put him behind bars on Wednesday. Foto: Harun Ur Rashid Swapan
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ৷ গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি না হয়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডে হতাশ হলেও তিনি বলেন, এই রায়ের কিছু ঐতিহাসিক দিক আছে৷ তাঁর কথায়, ট্রাইব্যুনাল-১-এর এই রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ আর গোলাম আযম এই গণহত্যার বে-সামরিক প্রধান বা ‘মাস্টার মাইন্ড'৷ তিনিই ছিলেন এর সুপিরিয়র কমান্ড৷ এছাড়া, জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কাজ করেছে৷ সেই জামায়াতের পূর্ব-পাকিস্তানের নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম৷

তুরিন আফরোজ জানান, আদালত তার রায়ে এসব কথা স্পষ্ট করেই বলেছে৷ শুধু তাই নয়, আদালত বলেছে যে জামায়াতে ইসলামী এবং তার নেতা গোলাম আযম একাত্তরের পরও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকা থেকে সরে আসেনি৷ আদালত আরো জানায়, কোনো সরকারি পদে যেন মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আসীন না হতে পারে, তার দায়িত্ব সরকারের৷ তাই সরকারেরই এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে৷

তুরিন আফরোজ বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ার পরও আদালত তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে৷ কিন্তু ১৯৭৩ সালের মানবতাবিরোধী আইনে কোনো আসামির বর্তমান বয়স এবং শারীরিক অবস্থাসহ কোনো ধরনের প্রেক্ষিত বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ নেই৷ শুধু মাত্র তিনি যে সময়ে অপরাধ করেছেন, সেই সময়ের অবস্থাকেই বিচেনায় নেয়া যায়৷ তাই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে৷

তিনি বলেন, এই রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে আদালত সন্ত্রাসী সংগঠন বলায় দল হিসেবে জামায়াতেরও বিচারের সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ সেই দিকটিও বিবেচনা করছেন তারা৷

তবে তুরিন আফরোজ মনে করেন, গোলাম আযম এবং তার দল একাত্তরের পরও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে তার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের সুযোগ আছে৷ এই সব অপরাধের কথা রায়েও রায়েছে৷ তাই তুরিন আফরোজের ধারণা, শুধু হতাশ না হয়ে আরো বড় আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷

এদিকে, এই রায়ের প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চ ও জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে পাল্টা-পাল্টি হরতাল ডেকেছে৷ গণজারণ মঞ্চ হরতাল ডেকেছে গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি, মানে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে৷ আর জামায়াত হরতাল ডেকেছে গোলাম আযমের মুক্তির দাবিতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য