মাইকেলের শেষ যাত্রার প্রস্তুতি
৬ জুলাই ২০০৯ধারনা করা হচ্ছে, গণমাধ্যমের কল্যাণে লস এঞ্জেলেসের অনুষ্ঠানটি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি প্রদর্শিত ঘটনার একটি হতে পারে৷ তাহলে, মাইকেলকে স্মরণ করতে কাল সারা বিশ্ব ক্ষণিকের জন্য হলেও থমকে দাঁড়াবে? যেমনটি ঘটেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মৃত্যু, অ্যাপোলার চাঁদে অবতরণ ও প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর সময়৷
বিবিসির হিসেবে, সারা বিশ্বে ১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষ কৃত্যের দর্শক ছিল আড়াইশো কোটি মানুষ৷ এসব হিসেবের বিশ্বাসযোগ্যতা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ৷ এই সময়ে এসে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের কারণে অসংখ্য ওয়েব দর্শক টানবে এই অনুষ্ঠান- তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
মাইকেলের নেভারল্যান্ড ব়্যাঞ্চে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহম্পতিবার বলা হয়, মঙ্গলবার লস এঞ্জেলেসের স্ট্যাপেলস সেন্টারে তা হবে৷ ইতিমধ্যেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছে ভক্তদল৷ বিনা মূল্যের ৮৭৫০ টিকিটের জন্য শুক্রবারই অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছে ১৯ লাখ মানুষ৷
এদিকে এক খবরে জানা গেছে, মৃত্যুর পর মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রির পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে তাকে অনুসরণ ও অনুকরণকারী শিল্পীদের কদরও৷
অস্ট্রেলিয়ার জ্যাসন জ্যাকসন তাদের একজন৷ গুরুর মৃত্যুতে শোকরুদ্ধ জ্যাসন বলেন, লাস ভেগাস থেকে বেইজিং-সবখান থেকেই ডাক আসছে তার৷ আগে তার সব অনুষ্ঠানে সব আগাম টিকিট বিক্রি না হলেও এখন মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সব টিকিট৷
ছোট বেলা প্রচণ্ড মাইকেল অনুরাগ থেকে নাম বদলেছেন এই শিল্পী৷ গান করেন, নাচেন প্রয়াত পপ সম্রাটের মতো৷ ১০ বছর বয়সে হাড়ের ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়ার কৃতিত্বও তিনি দেন কিং অফ পপের থ্রিলার অ্যালবামকে৷
প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার