মহাকাশে বিদ্যুতের ব্যবহার
২৯ জুলাই ২০২০মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে তথ্য পাঠাতে বৈদ্যুতিক শক্তি কেমন করে পায় আর্থ স্টেশনগুলো? এর জন্য রেডিও-আইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর বা আরটিজি হলো অন্যতম মাধ্যম৷ কোলন শহরে আকাশ ও মহাকাশ ভ্রমণ সংক্রান্ত এই গবেষণা কেন্দ্রে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা তেমনই একটি থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর তৈরি করতে একত্রিত হয়েছেন৷
ইন্দোনেশিয়ার হাসবুনা কামিলা তাদের একজন৷ তিন বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই দলটিতে কাজ করছেন, যারা কিনা জেনারেটরটিকে আরো কেমন করে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় সে চেষ্টা করছেন৷
কামিলা বলেন, ‘‘আমার গবেষণার উদ্দেশ্য হলো থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরে পি-টাইপ উপাদান অপটিমাইজ করা৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ পি-টাইপের দক্ষতা উপাদানগুলোর গঠনের ওপর নির্ভর করে৷’’
তিনি যোগ করেন, ‘‘পি-টাইপ উপাদানটিকে থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরের জন্য অপটিমাইজ করা হলো তা যেন মডিউল হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ তবে আমি পুরো জেনারেটরটি তৈরির ক্ষেত্রে খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ নিয়ে কাজ করি, যা হয়তো ভবিষ্যতে মহাকাশযান বা গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে৷’’
তবে গবেষক দলটির প্রধান ইয়োহানেস দ্য বোরের মতে, কামিলার কাজের পরিধি কম হলেও অনেক বেশি কার্যকরী৷ কামিলার গবেষণার ফলে তাপবর্জ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা বিদ্যুতের দক্ষ জ্বালানির উৎস হবে৷
‘‘মিলা যে কাজটি করছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এই যে ছোট ছোট পা, ছোট স্তম্ভগুলো দেখছেন, এগুলোর অর্ধেক এন-টাইপ ও অর্ধেক পি-টাইপ উপাদান দিয়ে তৈরি,’’ বলেন বোর৷
বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মিলা কাজের প্রেরণা পান৷ তার মতে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখতে পারেন৷
জটিল এই গবেষণায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানীরা একসাথে হয়েছেন৷ তাদের মেধা এর ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলবে বৈকি৷ যেটি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় তা হল, এখানে নারী গবেষকদের সংখ্যা বেশি৷
জার্মানিতে পিএইচডি গবেষণা করার আগে কামিলা ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন৷ ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে তিনি তার অ্যাকাডেমিক গবেষণা চালিয়ে যেতে চান৷
টংগি টেওডোরা সিরেগার/জেডএ