মরণোত্তর গ্র্যামি
১৩ ডিসেম্বর ২০১২গত মঙ্গলবার ৯২ বছর বয়সে অজানার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি৷ ভাবছেন তারপরও কী করে পুরস্কার পেলেন? গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড কমিটি একটা অস্ত্রোপচারের ধকল সইতে না পেরে মারা যাওয়ার আগেই রবি শঙ্করকে জানিয়েছিলেন এবার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে তাঁকে৷ তাতে খুব খুশিও হয়েছিলেন সেতারের রবি৷ প্রচার সংস্থার মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তাঁর ‘লিভিংরুম সেশন - পার্ট ওয়ান' বিশ্বের সেরা মিউজিক অ্যালবাম হওয়াতেও তিনি গর্বিত৷ সঙ্গে নিজের মেয়ে আনুশকা শর্মাকে নিয়েও করেছিলেন এমন মন্তব্য যাতে ফুটে ওঠে এক সার্থক বাবার আনন্দ, ‘‘আমার মেয়ে আনুশকাও মনোনীত হওয়ায় আমি খুব গর্বিত৷ ও পুরস্কার পেলে হয়তো ভাষণটা আরো ভালো হতো৷''
মজার ব্যাপার হলো, রবি শঙ্করের পক্ষ থেকে এখন আগামী ফেব্রুয়ারিতে গ্র্যামির ৫৫তম আয়োজনে যে পুরস্কারটা নেয়া হবে সেটা কিন্তু আনুশকাও পেতে পারতেন৷ বাবার মতো তাঁর ‘ট্র্যাভেলার' অ্যালবামটিও ছিল বিশ্বসেরা মিউজিক অ্যালবামের তালিকায়৷ এবার না পেলেও রবি শঙ্করের এই মেয়েটি যে ভবিষ্যতে সেতার বাজিয়ে আরো অনেক খ্যাতি এবং পুরস্কার পাবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত৷ সন্তানদের যে তিনি সংগীতের জন্য ভালোভাবেই তৈরি করেছেন তাতে আর সন্দেহ কী! আরেক মেয়ে নোরা জোনস এ পর্যন্ত গ্র্যামি পেয়েছেন পাঁচবার৷
এসিবি/জেএইচ (এএফপি)