1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যরাতে টেটপ্রার্থীদের মেরে তুলল পুলিশ

২১ অক্টোবর ২০২২

বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। শুক্রবার রাজ্য জুড়ে একাধিক কর্মসূচি।

https://p.dw.com/p/4IUyb
কলকাতা
ছবি: Satyajit Shaw /DW

শুক্রবার সন্ধের পর থেকে সল্টেলেকের করুণাময়ী অঞ্চলে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাতের দিকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রাত ১২টার পর ছাত্রছাত্রীদের প্রথমে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। তারপর তাদের কার্যত পাঁজাকোলা করে বাসে তোলা হয়। করা হয় বলপ্রয়োগ। গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছিল।

গত তিন দিন ধরে সল্টলেকের করুণাময়ীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে সামান্য দূরে সেক্টর ফআইভে ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও আন্দোলনে যোগ দেন। আমরণ অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে চাকরির দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেন। উল্লেখ্য, এর আগে ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএসসি এবং টেট পরীক্ষার্থীরা প্রায় দুই বছর ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তবে করুণাময়ীর আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা চরম বার্তা দেন। আমরণ অনশনের কথা জানান তারা। গত দুইদিনে দুইজন অসুস্থও হয়ে পড়েন।

প্রথম থেকেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের উঠে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও দুইদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এভাবে আন্দোলনকারীদের চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তারা ভাইভা বা ইন্টারভিউতে পাশ করতে পারেননি। সেই রাউন্ড তাদের পার করতে হবে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। সন্ধের পর থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাড়তে থাকে। তখনই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, পুলিশ বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন তুলে দিতে পারে। রাতের দিকে এলাকায় ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনকারীদের দ্রুত উঠে যেতে বলা হয়। তা নাম মানলে তাদের বলপ্রয়োগ করে তুলে পুলিশের বাসে উঠিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদেরও একইভাবে তোলা হয়।

পুলিশ যখন একাজ করছে, তখন ঘঠনাস্থলে ছিলেন সিপিএমনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মানববন্ধন করে তারা পুলিশকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। বিরোধীপক্ষের একের পর এক নেতা টুইট করতে শুরু করেন।

বামদলগুলির তরফে শুক্রবার দুপুরে ওই জায়গাতেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এবিষয়ে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে শাসকদলের কেউ এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)